Showing posts with label মুক্তচিন্তা. Show all posts
Showing posts with label মুক্তচিন্তা. Show all posts

তরুণদের চেপে রাখার অপচেষ্টা ।। শেখ সাদী মারজান

ঢাকার সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। ছোট বড় একাধিক সংগঠনে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সাহিত্য-সংস্কৃতির সুবাদে ওপার বাংলা ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে অনেকবার। অনেক প্রখ্যাত কবি, লেখক, শিল্পী ও সংগঠকের সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ্য হয়েছে যেমনি, তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে তেমনি। 

শেখ সাদী মারজান
শেখ সাদী মারজান
অগ্রজ অনেক লেখক-শিল্পী প্রায়ই তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, অমুক ঠিক নেই, তমুকের আদর্শে সমস্যা আছে; এরকম নানা ধরনের কথা বলে তরুণ লেখক, শিল্পীদেরকে পরোক্ষভাবে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করেন তারা। আমার খুব কাছের একজন অগ্রজ কবি-লেখক মাঝে মধ্যেই দ্বিতীয় আরেকজন খ্যাতিমান লেখকের সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেন। যার কারণে দ্বিতীয় লেখকের থেকে আমি দূরে থেকেছি। তাঁর সম্পর্কে নেগেটিভ একটা ধারণা আমার মনের ভেতর জন্ম নিয়েছিল। কয়েক বছর পর কলকাতার এক সিনিয়র সাংবাদিক, প্রাবন্ধিকের কল্যাণে দ্বিতীয় লেখকের সাথে আমার দীর্ঘ আলাপের এক পর্যায়ে জানতে পারি, আমার খুব কাছের ওই লেখক, দ্বিতীয় লেখকের অতি আপন মানুষ। বিপদে আপদে তাঁর থেকে আর্থিক সহযোগিতাও নেন। এরপর বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকার কাটিং বের করে দেখালেন, তাতে তাঁর সাহিত্য-কর্মের বেশ কয়েকটি পর্যালোচনাও লিখেছেন তিনি। এবার আসি আরেকটি ঘটনায়: আরেকজন সিনিয়র লেখক আমাকে বললেন – ‘অমুকের পত্রিকায় লেখা দিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করাটা ঠিক না, যেখানে সেখানে লেখা দেয়া উচিৎ না’। তার পরামর্শে আমি যে কোন ছোট কাগজে লেখা দেয়া বন্ধ করে দেই। বছর দেড়েক পরে এক সন্ধ্যায় দেখতে পাই, সেই ছোট কাগজে তার একটি লেখা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি গর্ব করে সেই লেখাটি সবাইকে দেখাচ্ছেন। সেই সাথে ওই ছোট কাগজটিরও প্রশংসা করছেন। এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা আছে মঞ্চে কবিতা পড়ার ব্যাপারেও। ওপার বাংলার সাহিত্য সম্মেলনে  আমার মতো তরুণদের অংশ নেয়া, অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। ওখানে না যাওয়ার পক্ষে যুক্তিসহকারে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এক দশক পরে এখন মনে হচ্ছে এ দেশের কিছু সিনিয়র লেখক-শিল্পীরা তরুণদের চেপে রাখার চেষ্টা করেন। ওনারা  জানেন না? সূর্যকে কখনো চেপে রাখা যায় না। হেলাল হাফিজের কবিতার লাইন দিয়েই শেষ করি: এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/মিছিলের সব হাত/কণ্ঠ/পা এক নয়।

 

শেখ সাদী মারজান

লেখক, সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার

তারা কিভাবে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াবে ।।। শেখ সাদী মারজান

কিছুদিন আগে দুপুর তিনটার দিকে শিল্পকলা একাডেমীর মাঠে দেখতে পেলাম প্রখর রৌদ্রের মধ্যে বেশ কিছু কোমলমতি শিশু-কিশোর-কিশোরীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু, শিশু একাডেমীর পোষাক পরিহিত, কিছু গার্লস গাইডের পোশাক পরিহিত আর বাকীরা সাধারণ পোশাক পরিহিত অবস্থায়। কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম, দেখতে লাগলাম- এখানে কি হচ্ছে বা কি ঘটতে যাচ্ছে ?

 

একজন নির্দেশক কর্কশ কণ্ঠে অশুদ্ধ ভাষায় কোমলমতিদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। এক কথায় ওদের সাথে রুঢ় আচরণ করা হচ্ছিল!কিছুক্ষণ পর জানতে পারলাম উক্ত কোমলমতি শিশুদেরকে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানো হবে।শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানোর প্রচেষ্টা তো অতি প্রয়োজনীয় সময়োপযোগী উদ্যোগ। এক কথায় খুবই ভালো উদ্যোগ। নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্ত এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে- যাদের ভাষা অশুদ্ধ, কথা কর্কশ, আচরণ রুক্ষ তারা কি করে এতগুলো কোমলমতি শিশুকে রৌদ্রে দাড় করিয়ে রাখার অধিকার পায়? তারা কি করে আমাদের গৌরবের জাতীয় সঙ্গীত শুদ্ধ করণের দায়িত্ব পায়?
 যাদের হৃদয়ে ভালবাসা নেই। যারা আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষা অবজ্ঞার সাথে উচ্চারণ করে, কোমলমতিদের সাথে রুঢ় আচরণ করে । তারা কিভাবে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত শেখাবে?

তারপরও স্বপ্ন বুনি ।। শেখ সাদী মারজান

সমাজের কিছু অসঙ্গতি কখনো কখনো সঙ্গতিতে পরিণত হয়। নিরূপায় হয়ে মেনে নিতে হয় অনেক না চাওয়া। কাঙ্খিত বস্তু পাওয়াটা খুবই দুরূহ। অনাকাঙ্খিতের গ্যাড়াকলে চাঁপা পড়ে থাকে গোটা জীবন। পরিশ্রমের পরও যদি সন্তুষ্টজনক ফলাফল না আসে, তখন চোখের সামনে ভাসে শুধুই অন্ধকার। এরপর যদি যোগ হয় প্রিয়জনের বিশ্বাসঘাতকতা তাহলে ব্যক্তিজীবন পরিণত হয় মৃতে, যাকে বলে জীবন্ত লাশ।

তারপরও স্বপ্ন বুনি  . . .
একদিন অসংগতি দূর হবে। সংগতি ফিরবে। অনাকাঙ্খিত দূর হয়ে কাঙ্খিত আসবে। জীবন হবে স্বপ্নের মতো সুন্দর।

Indian media's information terrorism

 What is  Information terrorism? Information terrorism means misleading people with false information and creating terrorism or inciting t...