Showing posts with label নিবন্ধ. Show all posts
Showing posts with label নিবন্ধ. Show all posts

স্বাধীন জাতির স্বাধীন‌ পিতা একটি সফল প্রযোজনা ।। শেখ সাদী মারজান

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলো জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার কবিতা অবলম্বনে, মীর বরকতের নির্দেশনায়; উদ্ভাসন আবৃত্তি দলের প্রযোজনা ‘স্বাধীন জাতির স্বাধীন‌ পিতা’। প্রযোজনা শুরু হয় হৃদয় ছোঁয়া ধারা বর্ণনার মধ্য দিয়ে। তারপর শাস্ত্রীয় নৃত্য এবং হামিং। কিন্তু আমার জ্ঞানেন সীমাবদ্ধতায় এখানে শাস্ত্রীয় নৃত্যের অর্থ বুঝলাম না। এরপর আবৃত্তির মাধ্যমে শুরু হয় মূল প্রযোজনা। কোরাস, বৃন্দ বা সম্মিলিত আবৃত্তিতে মুখরিত আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন। দর্শকরা মঞ্চে নয়জন আবৃত্তিশিল্পীর সমন্বিত পরিবেশনা শুনছেন, সেই সাথে ওদের অভিনয়ও দেখছেন। কিন্তু হৃদয় কেড়ে নিল তামান্না তিথির পরিবেশনা। যদিও তাদের মধ্য থেকে একমাত্র তামান্না তিথিকেই আমি আগে থেকে আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে জানি কারণ তিনি আবৃত্তি অঙ্গনের অতি পরিচিত মুখ। প্রযোজনার শিরোনাম আগে থেকে জানা থাকলেও, শুরু হওয়ার কিছু সময় পর বুঝতে পারলাম মূল চরিত্র 'খোকা' আর কেউ নন; তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পুঁথির সুর, তবলার তাল আর কবিতার দোলায়িত ছন্দে উদ্ভাসনের শিল্পীদের অনবদ্য উচ্চারণ, চোখ জুড়ানো আলোর প্রক্ষেপণ এবং আবহ সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় আমিও যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম প্রায় শত বছর আগে। কবির সাবলীল রচনা আর উদ্ভাসনের শিল্পীদের হৃদয় ছোঁয়া পরিবেশনায় তখন আমি অনুভব করি ৭০/৮০ বছর আগের বাঙলার পরিস্থিতি।

বাংলা একাডেমির মঞ্চে উদ্ভাসনের শিল্পীরা

তরুণ আবৃত্তিকাররা স্মরণ করিয়ে দিলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময় ও সেই সংগ্রামের দিনগুলো। রফিক, সালাম, বরকত, শফিউর, জব্বারের পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে জেগে উঠেছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙালি। জাতিসত্তার কবি নুরুল হুদা তার কাব্যে বাঙালি বন্দনা করেছেন। গেয়েছেন বাঙালির বীরত্বগাঁথা। তুলে ধরেছেন প্রাচীন বাংলার ইতিহাস। কাব্যের মাঝে বুনে দিয়েছেন চিরায়ত বাংলার কাহিনী। মহাভারত, রামায়নও বাদ যায় নি। হৃদয় ছোঁয়া কবিতার লাইনগুলো ঠিক আমার স্মৃতিতে নেই। তবে দু’একটি লাইন স্মৃতিতে গেঁথে আছে।

‘বাঙালি পেরিয়ে এলো শত শতাব্দীর ইতিহাস’

দুঃখ ভারাক্রান্ত মুজিবের ভাষণে ১৯৭১ সালে বাংলার মানুষ জেগে উঠেছিল, মুক্তি চেয়েছিল। তারপর রচিত হলো বাঙালির মুক্তির সনদ। ১৭ মার্চ, ২০২৪ বাংলা একাডেমিতে উদ্ভাসনের শিল্পীদের কন্ঠে ফুঁটে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের জ্বলন্ত ইতিহাস। মনে হচ্ছিলো মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার কখনো মনে হচ্ছিলো চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনাই বলছে তারা। নবীন আবৃত্তিকারদের কণ্ঠে ছিলো রাগ, বিরাগ, অনুরাগ। ‘জেগে থাক একাত্তর.....’ এ ধরণের লাইনগুলো যখন তারা উচ্চারণ করছিলো, তখন মনে হচ্ছিলো আগুনের ফুলকি বের হচ্ছে কবিতার শব্দ থেকে। যদিও তরুণ আবৃত্তিকারদের দু'একটা উচ্চারণ কানে লেগেছে। তবে এমনটা সবার কানে লাগবে না বলে আমার মনে হয়। তবে সব মিলিয়ে মুহম্মদ নুরুল হুদার কবিতা অবলম্বনে নির্মিত ‘স্বাধীন জাতির স্বাধীন‌ পিতা’ একটি সফল প্রযোজনা বলে আমার মনে হয়েছে।

বাংলাদেশে ইকেবানা চর্চা ।। শেখ সাদী মারজান

ইকেবানা হচ্ছে জাপানী পদ্ধতিতে ফুল সাজানোর শিল্প। এই প্রাচীন শিল্প হিয়ান যুগ থেকে জাপানে প্রচলিত। জাপানের তিনটি শাস্ত্রীয় শিল্পের মধ্যে এটি একটি।

বাংলাদেশে ইকেবানা চর্চা শুরু হয় স্বাধীনতার পর থেকেই। ১৯৭৩ সালে জাপান দূতাবাসের সহযোগিতায় ড.একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন স্যারের হাত ধরে গঠিত হয় বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। বাংলাদেশে ইকেবানার প্রচার ও প্রসারে অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেনের অবদান অনস্বীকার্য। 

২০২৩ সালে বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। এর আগে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করে এই সংগঠন। বিআইএ-র অধীনে বর্তমানে তিনটি ইকেবানা স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি শাহীনুর বেবী এবং সিইও জনাব মাসুদ করিম।


বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশনের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে জাপানী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি


সাহিত্য সারথি রেজওয়ান শাওন ।। শেখ সাদী মারজান

সময়ের একজন প্রতিশ্রুতিশীল সাহিত্যকর্মী রেজওয়ানুল ইসলাম শাওনের লেখক নাম রেজওয়ান শাওন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, পাবলিক লাইব্রেরী, শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমিসহ ঢাকার সাহিত্য আসরে সরব উপস্থিতি ছিলো তাঁর। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে এই নিবেদিত সাহিত্যকর্মী এখন যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে অবস্থান করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেধাবী শিক্ষার্থীর সাথে আমার পরিচয় কবিতা আবৃত্তির সূত্রে। 

রেজওয়ান শাওন

শাওনের বাড়ি আর আমার বাড়ি একই এলাকায় হলেও তাঁর সাথে আমার পরিচয় ছিলো না। এক দশক আগে একজন তুখোড় সাহিত্য সংগঠকের মাধ্যমে তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়, তখন ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন রেজওয়ান শাওন। ইতোমধ্যেসহস্র চোখ মেলেনামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে তাঁর। প্রেম, দ্রোহ, উপেক্ষা, অপেক্ষা, প্রকৃতি, সৌন্দর্য এবং মানবতার বহুরূপ ফুটে উঠেছে সহস্র চোখ মেলেকাব্যগ্রন্থের পঙক্তিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে বেশ কয়েকটি সাহিত্য সন্ধ্যার সফল আয়োজক ছিলেন এই তরুণ সাহিত্যকর্মী। এছাড়া, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতমহাপৃথিবী সাহিত্য সংযোগধারাবাহিক অনুষ্ঠানেরও সহ-আয়োজক ছিলেন তিনি। ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন ডাকসুর নির্বাচনে সূর্যসেন হলের পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। শাওন শুধু সাহিত্যচর্চাই করেন না, তিনি আলোকিত জীবনের স্বপ্ন দেখে, মানুষকেও আলোকিত জীবনের স্বপ্ন দেখান। ইট-পাথর-কংক্রিটের শহরে থেকেও শেকড় না ভোলা কৃতি সন্তান তিনি। ঢাকা শহরের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি তাকে তাঁর কাজের মাধ্যমে চিনেন, জানেন। অগ্রজদের যেমন তিনি সম্মান করেন, অনুজদেরও তেমন স্নেহ করেন। অনুজরাও তাকে সম্মান করেন, ভালবাসেন; তাঁর দেশে না-থাকাটা অনুভব করেন। রেজওয়ান শাওনের কর্মময় জীবন একদিন ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে বলে আমি মনে করি। তাঁর সাহিত্য পাঠক মহলে সমাদৃত হবে বলে আশা করি। এই সাহিত্য সারথিকে শুভ কামনা জানিয়ে হেলাল হাফিজের কবিতার লাইন দিয়ে শেষ করছি। এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/মিছিলের সব হাত/কণ্ঠ/পা এক নয়।

তরুণদের চেপে রাখার অপচেষ্টা ।। শেখ সাদী মারজান

ঢাকার সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। ছোট বড় একাধিক সংগঠনে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সাহিত্য-সংস্কৃতির সুবাদে ওপার বাংলা ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে অনেকবার। অনেক প্রখ্যাত কবি, লেখক, শিল্পী ও সংগঠকের সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ্য হয়েছে যেমনি, তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে তেমনি। 

শেখ সাদী মারজান
শেখ সাদী মারজান
অগ্রজ অনেক লেখক-শিল্পী প্রায়ই তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, অমুক ঠিক নেই, তমুকের আদর্শে সমস্যা আছে; এরকম নানা ধরনের কথা বলে তরুণ লেখক, শিল্পীদেরকে পরোক্ষভাবে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করেন তারা। আমার খুব কাছের একজন অগ্রজ কবি-লেখক মাঝে মধ্যেই দ্বিতীয় আরেকজন খ্যাতিমান লেখকের সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেন। যার কারণে দ্বিতীয় লেখকের থেকে আমি দূরে থেকেছি। তাঁর সম্পর্কে নেগেটিভ একটা ধারণা আমার মনের ভেতর জন্ম নিয়েছিল। কয়েক বছর পর কলকাতার এক সিনিয়র সাংবাদিক, প্রাবন্ধিকের কল্যাণে দ্বিতীয় লেখকের সাথে আমার দীর্ঘ আলাপের এক পর্যায়ে জানতে পারি, আমার খুব কাছের ওই লেখক, দ্বিতীয় লেখকের অতি আপন মানুষ। বিপদে আপদে তাঁর থেকে আর্থিক সহযোগিতাও নেন। এরপর বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকার কাটিং বের করে দেখালেন, তাতে তাঁর সাহিত্য-কর্মের বেশ কয়েকটি পর্যালোচনাও লিখেছেন তিনি। এবার আসি আরেকটি ঘটনায়: আরেকজন সিনিয়র লেখক আমাকে বললেন – ‘অমুকের পত্রিকায় লেখা দিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করাটা ঠিক না, যেখানে সেখানে লেখা দেয়া উচিৎ না’। তার পরামর্শে আমি যে কোন ছোট কাগজে লেখা দেয়া বন্ধ করে দেই। বছর দেড়েক পরে এক সন্ধ্যায় দেখতে পাই, সেই ছোট কাগজে তার একটি লেখা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি গর্ব করে সেই লেখাটি সবাইকে দেখাচ্ছেন। সেই সাথে ওই ছোট কাগজটিরও প্রশংসা করছেন। এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা আছে মঞ্চে কবিতা পড়ার ব্যাপারেও। ওপার বাংলার সাহিত্য সম্মেলনে  আমার মতো তরুণদের অংশ নেয়া, অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। ওখানে না যাওয়ার পক্ষে যুক্তিসহকারে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এক দশক পরে এখন মনে হচ্ছে এ দেশের কিছু সিনিয়র লেখক-শিল্পীরা তরুণদের চেপে রাখার চেষ্টা করেন। ওনারা  জানেন না? সূর্যকে কখনো চেপে রাখা যায় না। হেলাল হাফিজের কবিতার লাইন দিয়েই শেষ করি: এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/মিছিলের সব হাত/কণ্ঠ/পা এক নয়।

 

শেখ সাদী মারজান

লেখক, সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার

পশ্চিমবঙ্গের অন্ধ হুমায়ূন ভক্ত আবু রাইহান ।। শেখ সাদী মারজান

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অজস্র পাঠক ভক্তের কথা প্রায় আমাদের সকলের জানা আছে। কিন্তু ওপার বাংলায় একজন অন্ধ হুমায়ূন ভক্ত রয়েছে, তিনি আবু রাইহান। পেশায় সাংবাদিক, নেশায় কবি। কবি-বহুমাত্রিক লেখক সাযযাদ কাদির প্রবর্তিত বাংলা কবিতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন আবু রাইহান। হুমায়ূন আহমেদের লেখা সবগুলো বই তিনি পড়েছেন। দেখেছেন তাঁর সবগুলো সিনেমা। বাংলাদেশে আসার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল প্রিয় কবি আল মাহমুদের সাথে দেখা করা এবং প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লী দেখা।


নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন ভক্ত আবু রাইহান

প্রথমে দেখা করেন আল মাহমুদের সাথে, এরপর যান নুহাশ পল্লীতে। তাঁর সাথে ছিলেন ওপার বাংলার কবি-কথাসাহিত্যিক আবদুস শুকুর খান, কবি তাজিমুর রহমান, বাংলাদেশের কবি আনিসুর রহমান খান, পুলিশ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন, নাট্যজন আলী হাসান। নুহাশ পল্লীতে আবু রাইহানের দেখা হয় হুমায়ুন আহমেদের আরেক পাগল ভক্ত মোশাররফ এর সাথে, যিনি নুহাশ পল্লীর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্তে নিয়োজিত আছেন। মোশাররফ হুমায়ুন আহমেদের সব কয়টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তিনি একজন লোকসঙ্গীত শিল্পীও। মোশাররফ শোনান নুহাশ পল্লীর অনেক গল্প-কাহিনী, ঘুরে ঘুরে দেখান কোন জায়গায় হুমায়ুন আহমেদ বসতেন, কোন ঘরে থাকতেন ইত্যাদি। আবু রাইহান মুগ্ধচিত্তে শোনেন মোশাররফের কথাগুলো। নুহাশ পল্লী দেখেন আর মুগ্ধ হতে থাকেন। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে নিজের লেখা গানটি মোশাররফ শোনান আবু রাইহানকে। সবশেষে হুমায়ূন আহমেদের কবরের সামনে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে যান আবু রাইহান। কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকার পর কবর জিয়ারত করেন।
হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করছেন আবু রাইহান ও কবি-কথাসাহিত্যিক আবদুস শুকুর খান
ঢাকায় ফেরার পথে, গাড়ীতে বসে জীবিত হুমায়ূন আহমেদকে না দেখতে পারার আফসোস ব্যক্ত করেন হুমায়ূন ভক্ত আবু রাইহান।

আমাদের আইকন পুঁথি শিল্পী এথেন্স শাওন ।। শেখ সাদী মারজান

রাজবাড়ী জেলার সুলতানপুর গ্রামের সন্তান শাওন  মাহমুদ। এথেন্স শাওন বলে আমরা তাকে চিনি বা জানি। শুদ্ধ উচ্চারণ ও পুঁথি নিয়ে গ্রাম , শহর আর টিভির পর্দায় তাঁর সরব উপস্থিতি । 



শাওন ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় কলকাতার বিখ্যাত আবৃত্তিকার পুজন ঘোষের মাধ্যমে। প্রথম দেখাতেই বুঝেছিলাম শাওন ভাই সত্য ও সুন্দরের পুজারী। সাহিত্য ও শিল্পের গুণী মানুষদের প্রতি তাঁর সম্মান ও শ্রদ্ধা অতুলনীয়।



শাওন ভাই  ভাবেন আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন শুদ্ধ বাংলা ভুলে না যায় আরো ভাবেন যে আমাদের পুঁথি সাহিত্য যেন হারিয়ে না যায়।



অটমেশনের এই যুগে শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ ও পুঁথি এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে গ্রাম, শহর আর টিভির পর্দায় তাঁর সরব উপস্থিতি । নিজ উদ্যোগে জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষকে  শুদ্ধ উচ্চারণ শেখান এথেন্স শাওন। পুঁথির জন্য ছুটে বেড়ান দেশের আনাচে কানাচে। তাঁর দুটি স্লোগান আমার হৃদয় ছুয়ে যায়, একটি হচ্ছে 'মানুষকে মানুষ বলুন' অপরটি 'শুদ্ধ উচ্চারণ স্বপ্ন জাগরণ  '।


এথেন্স শাওন 



সুন্দর-শান্তি-সম্প্রীতি-ভালবাসার দূত সামি ইউসুফ ।। শেখ সাদী মারজান

বিশ্বসাংস্কৃতিক অঙ্গনজুড়ে চলছে যখন বেহায়াপানার প্রতিযোগিতা, অশ্লীলতার ছড়াছড়ি এমন একটি সময় সুস্থ-সুন্দর সঙ্গীতের ডালি নিয়ে বিশ্বসাংস্কৃতিক অঙ্গনে পা রাখলেন সামি ইউসুফ।
সামি ইউসুফ শুধুমাত্র একজন ইরানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সেলিব্রেটি নন। দ্য গর্ডিয়ান পত্রিকার মতে ‘মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ব্রিটিশ তারকা’। টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে সবচেয়ে বিখ্যাত ইসলামিক সঙ্গীত তারকার খেতাব দিয়েছেন। বিশ্বখাদ্য কর্মসূচীর মতো মানবিক প্রচেষ্টায় শামিল হয়েছেন সামি ইউসুফ।  জাতিসংঘ তাঁকে নিযুক্ত করেছে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচীর স্থায়ী রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বশান্তি-সম্প্রীতির সহায়তাকারী হিসেবে ।
বিশ্বজুড়ে রেডিও, টিভি, কনসার্ট হল, স্টেডিয়াম, সিটি স্কয়ার সহ অনেক জায়গাতে শোনা যায় তাঁর কণ্ঠস্বর। তাঁর কনসার্টে লক্ষ লক্ষ দর্শক-শ্রোতার সমাগম হয়ে থাকে। লক্ষ লক্ষ মানুষের কৌতুহল ছিল তাঁর সম্পর্কে, তারা জানতে চেয়েছেন সামির সম্পর্কে। সামি ইউসুফ তাঁর প্রতিভার চিহ্ন রেখেছেন সময়ের তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি। সে একাধারে  একজন কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সঙ্গীতযন্ত্র বিশেষজ্ঞ এবং প্রযোজক। সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর মানবিক কাজসমূহ।
সামির সঙ্গীত ক্যারিয়ারের শুরুতে, প্রায় ১৫ বছর আগে তার গানগুলোকে- পবিত্র, আধ্যাতিœক ও গভীর তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে মনে করা হতো। তাঁর প্রথম এ্যালবাম বিক্রি হয়েছিল ৩৪ মিলিয়ন কপি । কিন্ত এই এ্যালবামের বিক্রির সংখ্যার দ্বারা সামির ইউসুফের গানের প্রভাবকে গুরুত্ব দেয়া যায়  না। তাঁর সঙ্গীতের মধ্যে রয়েছে পবিত্র ভালবাসা, বিশ্বশান্তির বার্তা, মানবিকতা, সুন্দর জীবনের আকাঙ্খা ইত্যাদি।


কবিতা আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।। শেখ সাদী মারজান


শৈশব থেকেই আমি কবিতার প্রেমে পড়েছি। পাঠ্য বইয়ের সবগুলো কবিতা মুখস্ত থাকতো। প্রাইমারী স্কুলে পড়াকালীন, বছরের শুরুতে নতুন বই পাওয়ার পর প্রথমে কবিতাগুলো পড়ে শেষ করতাম। পাঠ্য বইয়ের মধ্যে বাংলা বই ছিল বেশি প্রিয়। কারণ, বাংলা বইতে রয়েছে কবিতা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে পড়াকালেও কবিতা-ই আগে পড়া হতো। আর এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি ‘ইংরেজি সাহিত্য’ বিষয়ে, এখানে বিখ্যাত কবিদের কবিতা পড়ছি।
আমার লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল কবিতা দিয়ে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন- জেলা শহর হতে প্রকাশিত একটি সময়িকীতে আমার কবিতা ছাপা হয়। তারপর আস্তে আস্তে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাময়িকীতে কবিতা-গল্প-ফিচার-নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। আমার প্রেম কিন্ত কবিতার সাথেই । কবি ওয়ার্ডস ওয়ার্থ কবিতা সম্পর্কে বলেছেন- The spontaneous overflow of powerful feelings: it takes its origin from emotion recollected in tranquility" আমার মনের একান্ত কথা, যন্ত্রণা, স্বপ্ন, বিক্ষিপ্ত ভাবনা সবকিছু আমি কবিতার মধ্যেই বলতে পারি।
উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হই ঢাকার একটি কলেজে। প্রখ্যাত আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফার হাত ধরে তখন থেকেই জড়িয়ে পড়ি আবৃত্তি সংগঠনের সাথে। আবৃত্তি গেঁথে যায় আমার জীবনের সাথে।
কবিতার জন্য ছুটে বেড়াই দেশের প্রান্তে-প্রান্তে। দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে প্রতিবেশি দেশেও গিয়েছি শুধু কবিতার জন্য। কবিতা আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।  

বাংলাদেশের আবৃত্তিচর্চা ।। শেখ সাদী মারজান

ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর । একটি মুক্তমঞ্চ। প্রতি বছর ডিসেম্বরের কোন এক শুক্রবারে ‘বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমী’র আয়োজনে এই মঞ্চে ‘শিমুল মুস্তাফা’ ৭১টি কবিতা আবৃত্তি করেন। দর্শক-শ্রোতা উপস্থিত থাকেন দশ হাজারেরও বেশি। প্রায় পাঁচ ঘন্টা মুগ্ধচিত্তে তাঁরা আবৃত্তি শোনেন।
বিভিন্ন দিবস কেন্দ্র করে আবৃত্তি অনুষ্ঠান সাধারণ ব্যাপার। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আবৃত্তির অনুষ্ঠান হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায়Ñ পাবলিক লাইব্রেরীর শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা, সংগীত-নৃত্য-আবৃত্তি মিলনায়ন, সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র, বিশ^সাহিত্য কেন্দ্র এবং চট্রগ্রামে- থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্রগ্রাম শিল্পকলা একাডেমী ইত্যাদি জায়গাগুলো আবৃত্তি অনুষ্ঠানের জন্য প্রসিদ্ধ। উল্লেখযোগ্য আবৃত্তি প্রযোজনা-  শেষ দৃশ্যের পরে (নন্দনকানন), রাধা কৃষ্ণের পদাবলী (কন্ঠশীলন),তাহাদের কথা (নন্দনকানন), সত্যিকারের রূপকথা (বৈকুণ্ঠ), জননী যন্ত্রণা (বৈকুণ্ঠ) প্রাক যুগে পুরো ভাগে (আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লা), অন্তরালে (নন্দনকানন), বৃদ্ধাশ্রম (ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা)।  এছাড়াও বিভিন্ন দিবসে বেতার-টেলিভিশনে আবৃত্তির অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের পর আবৃত্তি বেতার কেন্দ্রভিত্তিক হয়ে পড়ে। চল্লিশের দশকের শেষ দিকে বেতারে কবি ফররুখ আহমদ, শাহ্দাৎ হোসেন, সিকান্দার আবু জাফর নিজের রচিত কবিতা আবৃত্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে শুরু করেন। ক্রমে ক্রমে আবৃত্তি অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত হন আরো অনেকে।
১৯৫২ সনের মহান ভাষা আন্দোলনের পর প্রতি বছর একুশে উদযাপনের অনুষ্ঠানমালায় আবৃত্তি একটি মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মঞ্চে, রাস্তায়, মোড়ে, মহল্লায়, মফস্বলে, বিভিন্ন অঞ্চলের শহীদ মিনারে আবৃত্তি জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ১৯৬৬,৬৮,৬৯,৭০,৭১ এর দেশব্যাপী প্রবল আন্দোলনের জনজোয়ারকে উদ্দীপ্ত করার জন্য আবৃত্তি এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আবৃত্তি-কথিকা পাঠ জাতীয় জাগরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এক সময় বাংলাদেশে যাঁরা আবৃত্তি করতেন তাঁরা সকলেই ছিলেন অভিনেতা, গায়ক, বেতার ঘোষক। আবৃত্তি ছিল তাঁদের কাছে সখের চর্চা বা দ্বিতীয় মাধ্যম।
বাংলাদেশে আবৃত্তি জনপ্রিয় হতে থাকে আশির দশকের শেষ দিক ও নব্বই দশকের শুরু  থেকে । নব্বইর দশকে ‘শিমুল মুস্তাফা’ দেশের আনাচে কানাচে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবৃত্তির অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আবৃত্তি পৌঁছে দেন গণমানুষের হৃদয়ে। তাঁর আবৃত্তির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন কয়েকজন কবি, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হেলাল হাফিজ।

১৯৭৫ সালে গঠিত হয় প্রথম আবৃত্তি সংগঠন ‘আবৃত্তি সংসদ’। এই দশকে দ্রুত বিকাশ লাভ করে আবৃত্তি সংগঠন-সেই সাথে সংগঠনগুলোর মধ্যে আন্তরিক যোগসূত্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তাও অনুভূত হতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। বর্তমানে সারাদেশে মোট ৪৭১টি আবৃত্তি সংগঠন রয়েছে এর মধ্যে ৩৭টি ঢাকায় । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যÑ বৈকুণ্ঠ, কণ্ঠশীলন, মুক্তধারা, স্বরশ্রুতি, ত্রিলোক, সংবৃতা, বোধন, উচ্চারক, প্রমা, স্রোত, স্বরকল্পন, বোধন ও উদীচী। শিল্পকলা একাডেমীতে পৃথক আবৃত্তি বিভাগ রয়েছে।   আবৃত্তি কর্মশালা সাধারণত সংগঠন ভিত্তিক হয়ে থাকে । প্রতিটি কর্মশালায় অনেক তরুণ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবাই যে আবৃত্তি শিল্পী হয় তা নয়। অনেকে হয়ে থাকে আবৃত্তিকর্মী। আবৃত্তি শিল্পী না হতে পারলেও অন্তত বাংলা প্রমিত উচ্চারণ শিখতে পারে। টেলিভিশন সংবাদ পাঠকদের অধিকাংশই শুদ্ধ উচ্চারণ শিখতে দ্বারস্থ হয় আবৃত্তি সংগঠনগুলোর। 
আবৃত্তি অঙ্গনে যাঁদের কর্মকা- বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য-  তারিক সালাাহউদ্দিন মাহমুদ, নরেন বিশ্বাস, গোলাম মুস্তাফা, আশরাফুল আলম,  হাসান ইমাম, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, নাজিম মাহমুদ, আসাদুজ্জামান নুর,  ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, জয়ন্ত চক্রবর্তী,  শিমুল মুস্তাফা, মাহিদুল ইসলাম, আহকাম উল্লাহ, গোলাম সারওয়ার, মীর বরকত, রুপা চক্রবর্তী, রফিকুল ইসলাম, নাসিম আহমেদ, শাহাদাত হোসেন নিপু, মাসুম আজিজুল বাসার, মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, মজুমদার বিপ্লব, ফখরুল ইসলাম তারা, রাশেদ হাসান, তামান্না তিথি, নাঈমা সিদ্দিকা, মেহেদী হাসান, বেলায়েত হোসেন, সাফিয়া খন্দকার রেখা, রেজীনাওয়ালী লীনা, সোহেল আনোয়ার, শামসুদ্দোহা, রাশেদ হাসান, নাজমুল আহসান, তামান্না ডেইজী, নাঈম সারোয়ার ও আবু নাছের মানিক। 
গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন- শিমুল মুস্তাফা, কামরুল হাসান মঞ্জু, মাহিদুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, নাজমুল আহসান ও মাসুম আজিজুল বাসার।
 আশি-নব্বইর দশকে আবৃত্তিচর্চা সংগঠন নির্ভর হলেও এখন আবৃত্তি কর্মীরা অনেকটা ব্যক্তিগতভাবেও চর্চা করতে পারে। বিশেষ করে তরুণরা বের হয়ে এসেছে সংগঠনের গণ্ডি থেকে। নিজেরাই আবৃত্তির এলবাম প্রকাশ ও মার্কেটিং করতে পারছে। অন্তর্জালের মাধ্যমে বিশেষ করে ইউটিউবের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারছে তাদের কর্ম। এমনকি ওয়েলকাম টিউনে শোনা যায় তাদের আবৃত্তি । পেশাদারিত্বের জায়গায় কিছুটা হলেও পৌঁছাতে পেরেছে আবৃত্তিশিল্প।  বাংলাদেশে আবৃত্তি শিল্পের ভবিস্যৎ  সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল।

এখানে আলোর বিলাপ, আঁধারের হাসির বিরুদ্ধে প্রলয়সম প্রতিবাদের প্রতিশ্রুতি

শায়েখ শোয়েব:
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম টিএস এলিয়টের কবিতা ‘দি ওয়েস্টল্যান্ড’ কবিতাটি এলিয়ট শুরু করেছিলেন
`April is the crulest month’
এই পংক্তি দিয়ে, এপ্রিল বসন্তের সপ্রাণ স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে প্রকৃতিতে, কিন্ত এলিয়ট সেই বাসন্তী আলোয় অনুভব করেছিল অন্ধকারের নিষ্ঠুরতা। সমকালের বহুমাত্রিক প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ প্রচন্ড আক্ষেপ থেকে লিখেছিলেন ‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ সেখানেও অশুভ অন্ধকার গ্রাস করছে শ্বেতশুভ্র আলোকে। আর সপ্রাণ সংস্কৃতিকর্মী শেখ সাদী মারজান সাহিত্যের মায়াবী মৃত্তিকায় অঙ্কুরোদগম হলো ‘আলোর বিলাপ আঁধারের হাসি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে। এখানে আলোর বিলাপ, আঁধারের হাসির বিরুদ্ধে প্রলয়সম প্রতিবাদের প্রতিশ্রুতি . . . . 

তরুন কবি-আবৃত্তিকার শেখ সাদী মারজানের ‘আলোর বিলাপ আঁধারের হাসি’ আটচল্লিশ পৃষ্ঠার বইটিতে মোট চল্লিশটি কবিতা রয়েছে। প্রকাশ করেছে- বাবুই প্রকাশনী, প্রচ্ছদ একেছেন হোসাইন মেবারক। 
মূল্য:৯০টাকা।

স্বাধীন জাতির স্বাধীন‌ পিতা একটি সফল প্রযোজনা ।। শেখ সাদী মারজান

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলো জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হ...