Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

সিতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে ।। শেখ সাদী মারজান

সিতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে

জ্বলছে শত শত কন্টেইনার

আগুন নেভাতে লড়ে যাচ্ছে

অদম্য ফায়ার ফাইটার। 


মায়ের কোলে চড়ে নিষ্পাপ শিশু এসেছে- প্রিয় বাবার খোঁজে

যুবতী বধু চেয়ে আছে প্রিয়তম স্বামীর পথপান 

মা-বাবা খুঁজছে বুকের ধন, কলিজার টুকরা সন্তান।


মানুষেরা দূর থেকে ছুটে গিয়েছে 

সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে

ছুটে গিয়েছে সেনাবাহিনী

ছুটে গিয়েছে ব্লাড ডোনার

ছুটে গিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকের দল 

বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছে ফার্মেসীগুলো। 


আগুন তবুও থামছে না

কোন কিছুই মানছে না!


ঝরে গেল কতগুলো তাজা মানুষের প্রাণ

বিষ্ফোরণে উড়ে গেল কত দেহের অঙ্গ। 

শোক বার্তা জানিয়েছেন আমাদের রাষ্ট্র প্রধান

তহবিল ঘোষণা করেছে মন্ত্রণালয়; দেবে অনুদান 

সন্তানহারা পিতার মন কীভাবে জুড়ায়

পিতাহারা সন্তানের আশা না ফুরায়

যুবতী বিধবা গৃহবধুর বুক ফাটা চিৎকার 

আকাশে বাতাসে মিশে যায়।



জীবন গণিত ।। শেখ সাদী মারজান

রাত নামতেই মনের পর্দায় ভেসে উঠে

জীবন হিসাবের দীর্ঘ টালি খাতা

যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ; আরও কত জটিল গণিত

সমাধানের চেষ্টায় বৃথা পরিশ্রম মস্তিষ্কের 

আদি লগ্ন হতে এখন অব্দি আবিষ্কার হয় নি;

কাঙ্খিত ফলাফলের প্রত্যাশায়-

সে গণিত কষতে কষতে পেরিয়ে যায় মধ্যরাত

অতঃপর গভীর ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসে।


মহামারী বিদায় হ‌লে ।। শেখ সাদী মারজান

মহামারী বিদায় হ‌লে 
আবার দেখা হ‌বে।
স্মৃ‌তিমাখা প্রিয় শহর
আবার মুখ‌রিত হ‌বে।

অসহায় মানুষ
অসহায় পৃ‌থিবী
চা‌রি‌দি‌কে করুণ আহাজা‌রি
পর্দায় হাজা‌রো শো‌কের ছ‌বি।

মানুষ এখন মানুষ থে‌কে দূ‌রে
তবুও পৃ‌থিবী থে‌মে নেই
লা‌শের মি‌ছিল কখন থাম‌বে
সময় কা‌রো জানা নেই।

নিরব ঘাতক চির‌দিন থাক‌বে না
দূর হ‌য়ে যা‌বে, সু‌-দিন আস‌বে
প্রিয় হারা‌নোর ক্ষত
হৃদ‌য়ে জ্ব‌লে উঠ‌বে।



মানুষ ছুটছে ।। শেখ সাদী মারজান

মানুষগুলো ছুটে, শুধুই ছুটে

সবপথ লোকারণ্য
মহাসড়কে যানজট
অথচ, ঘরগুলো ফাঁকা।
মানুষ যেন পথেই থাকে
পথেই খায়
পথে ঘুমায়
অথচ, বড় ইমারত বানায়। 


সালাম ।। শেখ সাদী মারজান

সালাম সে তো পরম শান্তির দোয়া
স্নেহ-শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জড়ানো
প্রিয় রাসুলের (.) আদর্শের ছোয়া। 
 
সালাম সে তো দূর রে দেয়
নের আকাশে জমে থাকা কালিমা
শত্রুকেও আপন রে নেয়।
 
সালাম সে তো সবার জন্য
ছোট-বড়ধনী-গরীবউচু-নীচু
ড়ে তোলে সম্প্রীতি অনন্য।
 
সালাম সে তো নেক ভালো কাজ
লাজ-শংকাভেদাভেদ সব ভুলে 
সালাম রীতি শুরু রে দাও আজ।


জোছনাবাসী।। শেখ সাদী মারজান

প্রতি পূর্ণিমায় আমি একা- হেঁটেছি
গ্রামের মেঠো পথ ধরে নির্জন মাঠে।
স্বপ্ন-দিঘীর শান বাঁধানো ঘাটে বসে
লোনা জলের ফোঁটায় গাল ভিজিয়েছি।
 
ইট-পাথরের এই শহরে একা- জাগি
ব্যালকনিতে বসে চন্দ্রকলার বর্ণ দেখি।

আসন্ন ফাগুন পূর্ণিমায় আবারও হাঁটবো
একা নয়, কেউ একজন হাত ধরবে!
নির্জন মাঠে নয়, কোলাহলমুখর প্রান্তরে
চারপাশে থাকবে অজস্র জোছনাবাসী।


আমরা বাঙালি

আমাদের এক ভাষা, আমরা এক জাতি
আমরা বাঙালি একসাথে উৎসবে মাতি
আমাদের এক ভূখণ্ড, একই শরীর গঙ্গা-পদ্মা
আছে সহস্র বছরের ইতিহাস মুছতে পারবেনা।
আমাদের ঈদ আমাদের পূজা
আজানের সুর আরতির শাখ
আমাদের বর্ষা শরত-বসন্ত আর পহেলা বৈশাখ
হাজার বছর হাজার যুগ একসাথে বেঁচে থাক

আবৃত্তি ।। শেখ সাদী মারজান

আবৃত্তি শিল্প হাজার বছর আগেও ছিল, পরেও থাকবে
কোরআন ও গীতায় আছে, সত্য-সুন্দরের সাথে আছে
মিশে ছিল-আছে-থাকবে সতত শিল্পিত জীবনের সাথে
শুদ্ধ উচ্চারণে প্রতিটি শব্দ পৌঁছে দেয় মানুষের কানে



দেবতা ভেবে ।। শেখ সাদী মারজান

দেবতা ভেবে তোমাদের পায়ে আমি অর্ঘ্য ঢেলেছি
আমার ক্ষুদ্র হৃদয় তোমাদের সেবায় শপে দিয়েছি
দিবানিশি ছুটেছি আমি পাগলা ঘোড়ার ন্যায়
কোনো কিছু না ভেবে শুধু তোমাদের কথায়
ভালবাসার প্রতিদানে অবহেলা পেয়েছি
তোমারদের স্বার্থে শুধু ব্যবহৃত হয়েছি
অতঃপর তোমাদের আসল দেবতা-রুপ দেখেছি
শত বিভ্রান্তির ভাজ খুলে আজ আমি বুঝেছি

তোমরা সুশীল-সভ্য-সুন্দর দেবতা রুপী হায়েনা
তোমাদের কখনোই ভালো মানুষ বলা যায়না

debota vebe দেবতা ভেবে - কবি শেখ সাদী মারজান


একটি গানের জন্য।। শেখ সাদী মারজান

এখন মধ্য রাত; চারপাশ নিস্তব্ধ
তন্দ্রামাখা চোখ দুটি জেগে আছে
একটি গানের জন্য
কাঙ্ক্ষিত সুরের জন্য উদ্বেলিত প্রাণ ।

চেষ্টার ঢিলগুলো ব্যর্থ হয়ে ফিরে বারবার
তবুও হাল ছাড়বার নয়
এ যে প্রাণের পরম চাওয়া
হৃদয়ে লালিত সুপ্ত স্বপ্ন ।

আহা কোথায় পাবো ?
তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের খোরাক!
কবি ইমরোজ সোহেলের হাত থেকে স্মারক গ্রহণ করছেন-  শেখ সাদী মারজান 




পথ খুঁজি নতুন এক জীবনের ।। শেখ সাদী মারজান

তারাদের মতো আমিও জেগে থাকি
তাকিয়ে থাকি মনিটরে
অন্তর্জালে পৃথিবী দেখি
স্বার্থপরের মতো নিজেকে শুধু ভাবি

অনেক হিসেব কষে, অবশেষে
ব্যর্থ জীবনের হতাশায়
পালিয়ে যায় স্বপ্ন-আশা 
পথ খুঁজি নতুন এক জীবনের

হৃদয় ছুয়ে যায় সামি ইউসুফের সুর
আই আম নাও ওয়াইটিং
ওয়াইটিং ফোর সামথিং
হে মালিক তুমি আমাকে শক্ত করো
শেখ সাদী মারজান 

আয়না ।। শেখ সাদী মারজান

প্রতিদিন একবার আয়নার সামনে দাড়াই
ঘর থেকে বের হবার ঠিক আগ মুহূর্তে
আয়নাতে নিজের মুখ দেখি
এলোমেলো চুলগুলো ঠিক করি
কপালের কাঁটা দাগটাও দেখি
একটি ব্যর্থ অবয়ব দেখি
সবকিছু পরিষ্কার দেখি
খুঁতগুলো দেখতে পাই নিখুঁতভাবে
অথচ শোধরানো হয়না কোনদিন
কাচের আয়না এতো কিছু দেখায়!
আমি শুধু দেখি, শুধুই দেখি
শেখ সাদী মারজান 

আগুন কাব্য ।। শেখ সাদী মারজান

আগুন থাকে ভাতের উনুনে আগুন থাকে শ্মশানে
আগুন ছিল রাজপথে আগুন ছিল ফাগুনে আগুন এখন নিমতলীতে চকবাজার ঘুরে বনানীতে আগুন এখন রাস্তা চিনে সিঁড়ি বেয়ে উঠে উঁচু তলায় সাধের বাড়ি, স্বপ্নপুরী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয় আগুন সে তো শক্তিশালী পানি ঢাললেই নিভে যায় আগুন সে তো অহঙ্কারী ইবলিসেরও পতন হয়
শেখ সাদী মারজান 


রক্তমাখা কোরআনের পাতা ।। শেখ সাদী মারজান

রক্তমাখা পবিত্র কোরআনের পাতা
রক্তে লাল মসজিদের আঙিনা
খোদার দরবারে প্রার্থনারত শান্তির পাখিরা
লাশ হয়ে পড়ে আছে মসজিদের আঙিনায়
পৃথিবী তাকিয়ে দেখো,
মিডিয়া চোখ খুলে দেখো
মানবতার ফেরিওয়ালারা দেখো
দেখো দেখো.......
মুসলমানের জীবন কত তুচ্ছ দেখো
ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্টের অস্ত্রের তান্ডব দেখো
উগ্র উস্কানিদাতাদের পৈচাশিক উল্লাশ দেখো
খোদার দরবারে প্রার্থনারত শান্তির পাখিরা
                                   নিথর পড়ে আছে
আহত মানবতা চিৎকার করে কাঁদছে
শেখ সাদী মারজান

রক্তমাখা প্রিয় বসন্ত ।। শেখ সাদী মারজান

গাছের ডালে ফুটন্ত পলাশ শিমুল 
কোকিলের কুহুতানে মুখরিত চারদিক
সকালের সোনা রোদ ছড়িয়ে পড়েছে উঠোনে

মায়ের পাগল ছেলেটি চললো মিছিলে
বাংলা ভাষার মিছিলে
মায়ের ভাষার মিছিলে
"রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"
হায়েনার বুলেট বিঁধলো ছেলেটির বুকে
পিচঢালা রাস্তায় পড়েছিল নিথর দেহ
মা খুঁজছে তার পাগল ছেলেকে
ছেলেটি মিছিলে গিয়েছিল
মায়ের ভাষার মিছিলে
বাংলা ভাষার মিছিলে
মা খুঁজছে তার পাগল ছেলেকে
রক্তমাখা পিচঢালা পথ
রক্তমাখা পলাশ শিমুলের বুক
রক্তমাখা প্রিয় বসন্ত
কোকিলের কণ্ঠে বেদনার সুর
প্রচ্ছদ- রক্তমাখা প্রিয় বসন্ত

আমার মতো করে ।। শেখ সাদী মারজান

আমি ভাবতে চাই
আমি হাসতে চাই
আমি কাঁদতে চাই
আমার মতো করে

আমি দেখতে চাই
আমি শুনতে চাই
আমি মানতে চাই
আমার মতো করে

আমি পড়তে চাই
আমি জানতে চাই
আমি লিখতে চাই
আমার মতো করে

শেখ সাদী মারজান

স্মৃ‌তির আয়নায়

স্মৃ‌তির আয়নায় ভে‌সে উঠে
সদা হাস্যজ্জল এক‌টি মুখ
আ‌মি তা‌কি‌য়ে থা‌কি একম‌নে
তারপর যন্ত্রণারা বিধতে থা‌কে
অর্জু‌নের বা‌ণের ম‌তো
নিকোটিন পুড়ে, হৃদয় পুড়ে
ধোঁয়া বের হয়, ঠোঁট কালো হয়
দিন কেটে যায়, রাত কেটে যায়
সেই মুখটি, আহা! সেই মুখটি
স্মৃ‌তির আয়নায় ভে‌সে উ‌ঠে
শেখ সাদী মারজান

প্রিয় বন্ধু ।। শেখ সাদী মারজান

অনেকদিন পর 
তাঁর সাথে দেখা হলো
সে আমার প্রিয় বন্ধু
সে অনেক সুন্দর

সে দেখতে যেমন সুন্দর
তেমন সুন্দর হৃদয়টাও 

তাঁর মুখের পানে তাকালে
খুঁজে পাই শান্তি ও স্থিরতা 

তবুও ভালো আছি ।। শেখ সাদী মারজান

শেখ সাদী মারজান



মধ্যমায় বাস করে উজ্জ্বল চুনি
ওর রঙ আজ বিবর্ণ
যন্ত্রণায় এপাশ-ওপাশ করে কেটেছে সারা রাত
অস্থিরতা বাসা বেঁধেছে মাথায়
কোন ক্রমেই নামতে চাইছেনা যেন
সুস্থির আর সুসময় এখন আমাবশ্যার চাঁদ
তবুও আমি ভালো আছি
ভালো থাকার চেষ্টা করছি।

না ।। শেখ সাদী মারজান

সংক্ষিপ্ত একটি উত্তর, মুখ থেকে খুব সহজেই বের হয়ে যায়। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত উত্তরের পেছনে থাকে অনেক দীর্ঘ কাহিনী। মাঝরাতে ব্যালকনিতে  বসে চোখের জল ঝরিয়ে অতঃপর তৈরি হয় সংক্ষিপ্ত উত্তর- "না" 

সিলেটে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তিরত শেখ সাদী মারজান


স্বাধীন জাতির স্বাধীন‌ পিতা একটি সফল প্রযোজনা ।। শেখ সাদী মারজান

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলো জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হ...