আবৃত্তি শিল্প, আবৃত্তি কলা বা আবৃত্তি প্রসঙ্গ ।। শেখ সাদী মারজান

আবৃত্তি কাকে বলে ?
কবিতার ভাব, ছন্দ, তাল, লয় ও শব্দের উচ্চারণ সঠিক রেখে শ্রুতিমধুর কণ্ঠে কবিতাটি প্রকাশ করাকে আবৃত্তি বলে ।

অথবা
আবৃত্তি হলো অনুশীলনের দ্বারা প্রকাশের সম্পূর্ণতায় ও সুক্ষতায় পৌঁছানো এক শ্রুতিশিল্প ।

আবৃত্তি কেন ?
আবৃত্তি শুনে উত্তেজনায় কোষমুক্ত তলোয়ার হাতে উঠে দাড়িয়েছে মানুষ। আবৃত্তি শুনে ভয়ে চুল খাড়া হয়ে যাবে , হৃদপিন্ড ধুকধুক করবে, শ্রোতাবৃন্দ কান্নায় ভেঙ্গে পড়বেন – এসব কথা আজকের আবৃত্তির্কীর কাছে অবিশ্বাস্য হলেও প্রাচীন আবৃত্তির মজলিসে এটাই ছিল বাস্তব চিত্র। শিল্পী যদি বিষয়ে একাত্ন হয়ে ভাব প্রকাশ করেনতবে সে ভাব আপনা থেকেই শ্রোতার মনে ক্রিয়া করবে।

পবিত্র কোরআনের সুরা মুজ্জাম্মিলে আছে “ওয়া রাত্তিলিল কুরআনা তারতিলা” অর্থাৎ কোরআন তেলাওয়াত করো থেমে থেমে এবং গুরুত্ব সহকারে। এখানে তারতিল শব্দের ব্যখ্যা আবৃত্তি । সুতরাং পবিত্র কোরআনে আবৃত্তির কথা  গুরুত্ব সহকারে বলা আছে ।

শ্রীজ্ঞান অতিশ দীপংকরও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদানের পাশাপাশি আবৃত্তিকে জনশিক্ষার কাজে ব্যবহার করেছেন । আবৃত্তি মানুষের বাঁচার সংগ্রামের এক ফল , আবার বেড়ে উঠার প্রক্রিয়ায় প্রভাবও ফেলে।

আবৃত্তিকলায় দরকার ‘প্রকৃতিজাত আবেগ’ ‘বিষয়’ ও ‘অর্থগত ধ্বনিপুঞ্জ’। সাধারণ ভাষাগত শব্দ ও উচ্চারণ মাত্র নয়, অথচ উচ্চারণ তত্ত্ব একাল যাবত আবৃত্তিকলায় নিয়ামক ভূমিকা রেখেছে। কিন্ত ফলপ্রসূ আবৃত্তি নির্মান করতে হলে সাধারণ ভাষাকে মুখ্য ভূমিকায় রাখা যাবেনা ;একে সাহায্যকারী উপাদান হিসেবে দেখতে হবে। মুখ্য ভূমিকায় থাকবে আবেগ তথা ভাব-অনুভূতির প্রকাশ ।
মোটকথা কবিতায় প্রতিবর্ত-ক্রিয়াজনিত সাধারণ ভাষা , কবিতার ছন্দ, শব্দ-সুর ধ্বংস করে চেতনার আলো এবং যুক্তি-প্রমাণসহ খোলা জমিনে এসে দাঁড়াতে হবে। এরপর বাস্তব জগৎ থেকে সত্য গ্রহণ করে মুক্তপ্রাণে আবৃত্তি করতে হবে।
শেখ সাদী মারজান

আমাদের আইকন পুঁথি শিল্পী এথেন্স শাওন ।। শেখ সাদী মারজান

রাজবাড়ী জেলার সুলতানপুর গ্রামের সন্তান শাওন  মাহমুদ। এথেন্স শাওন বলে আমরা তাকে চিনি বা জানি। শুদ্ধ উচ্চারণ ও পুঁথি নিয়ে গ্রাম , শহর আর টিভির পর্দায় তাঁর সরব উপস্থিতি । 



শাওন ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় কলকাতার বিখ্যাত আবৃত্তিকার পুজন ঘোষের মাধ্যমে। প্রথম দেখাতেই বুঝেছিলাম শাওন ভাই সত্য ও সুন্দরের পুজারী। সাহিত্য ও শিল্পের গুণী মানুষদের প্রতি তাঁর সম্মান ও শ্রদ্ধা অতুলনীয়।



শাওন ভাই  ভাবেন আমাদের আগামী প্রজন্ম যেন শুদ্ধ বাংলা ভুলে না যায় আরো ভাবেন যে আমাদের পুঁথি সাহিত্য যেন হারিয়ে না যায়।



অটমেশনের এই যুগে শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ ও পুঁথি এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে গ্রাম, শহর আর টিভির পর্দায় তাঁর সরব উপস্থিতি । নিজ উদ্যোগে জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষকে  শুদ্ধ উচ্চারণ শেখান এথেন্স শাওন। পুঁথির জন্য ছুটে বেড়ান দেশের আনাচে কানাচে। তাঁর দুটি স্লোগান আমার হৃদয় ছুয়ে যায়, একটি হচ্ছে 'মানুষকে মানুষ বলুন' অপরটি 'শুদ্ধ উচ্চারণ স্বপ্ন জাগরণ  '।


এথেন্স শাওন 



না ।। শেখ সাদী মারজান

সংক্ষিপ্ত একটি উত্তর, মুখ থেকে খুব সহজেই বের হয়ে যায়। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত উত্তরের পেছনে থাকে অনেক দীর্ঘ কাহিনী। মাঝরাতে ব্যালকনিতে  বসে চোখের জল ঝরিয়ে অতঃপর তৈরি হয় সংক্ষিপ্ত উত্তর- "না" 

সিলেটে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তিরত শেখ সাদী মারজান


তারা কিভাবে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াবে ।।। শেখ সাদী মারজান

কিছুদিন আগে দুপুর তিনটার দিকে শিল্পকলা একাডেমীর মাঠে দেখতে পেলাম প্রখর রৌদ্রের মধ্যে বেশ কিছু কোমলমতি শিশু-কিশোর-কিশোরীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু, শিশু একাডেমীর পোষাক পরিহিত, কিছু গার্লস গাইডের পোশাক পরিহিত আর বাকীরা সাধারণ পোশাক পরিহিত অবস্থায়। কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম, দেখতে লাগলাম- এখানে কি হচ্ছে বা কি ঘটতে যাচ্ছে ?

 

একজন নির্দেশক কর্কশ কণ্ঠে অশুদ্ধ ভাষায় কোমলমতিদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। এক কথায় ওদের সাথে রুঢ় আচরণ করা হচ্ছিল!কিছুক্ষণ পর জানতে পারলাম উক্ত কোমলমতি শিশুদেরকে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানো হবে।শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানোর প্রচেষ্টা তো অতি প্রয়োজনীয় সময়োপযোগী উদ্যোগ। এক কথায় খুবই ভালো উদ্যোগ। নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্ত এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে- যাদের ভাষা অশুদ্ধ, কথা কর্কশ, আচরণ রুক্ষ তারা কি করে এতগুলো কোমলমতি শিশুকে রৌদ্রে দাড় করিয়ে রাখার অধিকার পায়? তারা কি করে আমাদের গৌরবের জাতীয় সঙ্গীত শুদ্ধ করণের দায়িত্ব পায়?
 যাদের হৃদয়ে ভালবাসা নেই। যারা আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষা অবজ্ঞার সাথে উচ্চারণ করে, কোমলমতিদের সাথে রুঢ় আচরণ করে । তারা কিভাবে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত শেখাবে?

অসমাপ্ত আবেগ ।।। শেখ সাদী মারজান

বোদরামের সৈকতে মুখ থুবরে পড়ে আছে
                                                 একটি শিশু
গায়ে লাল জামা, নীল হাফপ্যান্ট
পায়ে জুতা আর মোজা আছে
দেহ থেকে প্রাণটা উড়ে গেছে

যেন ফুটন্ত একটি ফুল
কান পেতে বালুর কথা শুনছে
আর বলছে-
এই তোমাদের সভ্য পৃথিবী!

সমুদ্র তাকে গ্রাস করেনি
ফিরিয়ে দিয়েছে, অথচ
চলমান সভ্যতা, সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ
মানুষকে ভীনদেশে, সমুদ্রে আর মৃত্যুর পথে ঠেলছে


তারপরও স্বপ্ন বুনি ।। শেখ সাদী মারজান

সমাজের কিছু অসঙ্গতি কখনো কখনো সঙ্গতিতে পরিণত হয়। নিরূপায় হয়ে মেনে নিতে হয় অনেক না চাওয়া। কাঙ্খিত বস্তু পাওয়াটা খুবই দুরূহ। অনাকাঙ্খিতের গ্যাড়াকলে চাঁপা পড়ে থাকে গোটা জীবন। পরিশ্রমের পরও যদি সন্তুষ্টজনক ফলাফল না আসে, তখন চোখের সামনে ভাসে শুধুই অন্ধকার। এরপর যদি যোগ হয় প্রিয়জনের বিশ্বাসঘাতকতা তাহলে ব্যক্তিজীবন পরিণত হয় মৃতে, যাকে বলে জীবন্ত লাশ।

তারপরও স্বপ্ন বুনি  . . .
একদিন অসংগতি দূর হবে। সংগতি ফিরবে। অনাকাঙ্খিত দূর হয়ে কাঙ্খিত আসবে। জীবন হবে স্বপ্নের মতো সুন্দর।

জীবন ।। শেখ সাদী মারজান

জীবন মানেই যুদ্ধ । জীবনের প্রতিটি সম্ভাবনার দ্বার যেন একেকটি যুদ্ধ ক্ষেত্র । প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলতে থাকে জীবন যুদ্ধ । সে যুদ্ধ ক্ষেত্রে কখনও দেখা দেয় সফলতার স্বপ্নের ঝিলিক আবার কখনও বা হতাশার দুঃস্বপ্ন ।
মাঝে মাঝে আমি ভেঙ্গে পড়ি এই বুঝি আমি হেরে যাচ্ছি । আবার কোন এক স্বপ্নের মোহে আমি আত্নবিশ্বাস ফিরে পাই অবিরাম যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে , জীবনের এই যুদ্ধে শুধুই কি হতাশা ? না , সফলতার ছোয়া একটু হলেও আছে । সুতরাং জীবনের যুদ্ধটা লড়াকু সৈনিকের মত চালিয়ে যাওয়া উচিত ।

কবিতার কথা ।। জীবনানন্দ দাশ

সকলেই কবি নয়। কেউ কউ কবি; কবি- কেননা তাদের হৃদয়ে কল্পনার এবং কল্পনার ভিতরে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার স্বতন্ত্র সারবত্তা রয়েছে এবং তাদের পশ্চাতে বিগত শতাব্দীর  ধরে এবং তাদের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক জগতের নব নব কাব্য-বিকিরণ তাদের সাহায্য করছে। সাহায্য করছে; কিন্ত সকলকে সাহায্য করতে পারে না; যাদের হৃদয়ে কল্পনা ও কল্পনার ভিতরে অভিজ্ঞতা ও চিন্তার সারবত্তা রয়েছে তারাই সাহায্য প্রাপ্ত হয়; নানা রকম চরাচরের সম্পর্কে এসে তারা কবিতা সৃষ্টি করবার অবসর পায়।
 বলতে পারা যায় কি এই সম্যক কল্পনা-আভা কোথা থেকে আসে? কেউ কেউ বলেন, আসে পরমেশ্বরের কাছ থেকে। সে কথা যদি স্বীকার করিতাহলে একটি সুন্দর জটিল পাককে যেন হীরার ছুরি দিয়ে কেটে ফেললাম। হয়তো সেই হীরের ছুরি পরীদেশের, কিংবা হয়তো সৃষ্টির রক্ত চলাচলের মতোই সত্য জিনিস। কিন্ত মানুষের জ্ঞানের এবং কাব্য সমালোচনার-নমুনার নতুন নতুন আবর্তনে বিশ্লেষকরা এই আশ্চর্য গিঁটকে- আমি যতদূর ধারণা করতে পেরেছি- মাথার ঘাম ফেলে খসাতে চেষ্টা করবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি এ সম্বন্ধে কি বিশ্বাস করি - কিংবা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবার মতো কোনো সুস্থিরতা খুঁজে পেয়েছি কি না তা আমি এ প্রবন্ধে আলোচনা করবনা।
(অংশ বিশেষ)





কবি বুদ্ধদেব বসু কবিতা পত্রিকার একটি প্রবন্ধ সংখ্যার (১৩৪৫, বৈশাখ) পরিকল্পনা করেছিলেন মূলত কবিদের গদ্য প্রকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে। এরই সূত্রে জীবনানন্দ তাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধটি লিখেছিলেন যার নাম ‘কবিতার কথা’। 
জটিল ভাষায় সুগভীর বক্তব্য নিয়ে প্রথম থেকেই প্রবন্ধলেখক জীবনানন্দ স্বতন্ত্র হয়ে গেছেন। এর পর পরম বিশ্বাসে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ-নিবন্ধে তিনি সৎ ও শিল্পোত্তীর্ণ কবিতার শর্ত নিরূপণ করেছেন, আধুনিকতার সঠিক পরিচয় নির্ণয় করেছেন এবং কখনো কখনো সমসাময়িক কবিতার মূল্যমান নির্ণয় করেছেন।
জীবনানন্দের প্রবন্ধের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তাঁর কবিতার কথা গ্রন্থের প্রবন্ধসমূহ। কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগুলোতে জীবনানন্দের কবিতা বিষয়ক ধ্যান-ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে নিরেট পরিসরে। সমসাময়িককালে ইউরোপীয় ধাঁচে বাংলা কবিতায় যে আধুনিকতার প্রবর্তন হয়, সে সম্পর্কে জীবনানন্দের পর্যবেক্ষণ খুবই লক্ষ্যভেদী। কবিতাবিষয়ক চিন্তায় জীবনানন্দ’র দৃষ্টিভঙ্গি অভিনব বললে অত্যূক্তি হবে না। যুগ যুগ ধ’রে কবিতা বিষয়ক বিতর্কের কেন্দ্র হলো: কবিতা কী, কী গুণে একটি রচনা কবিতা হয়ে উঠতে পারে। পরিবর্তে জীবনানন্দ সর্বাগ্রে কবি’র সংজ্ঞার্থ নিরূপণ করাই শিরোধার্য করছিলেন, তিনি সর্বপ্রথমেই লিখলেন: “সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি....।” কে কবি? জীবনানন্দ জানালেন, কবির হৃদয়ে থাকবে কল্পনা ; সে কল্পনার ভিতরে থাকবে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার স্বতন্ত্র সারবত্তা। অধিকন্তু, জীবনানন্দ’র মতে, একজন কবির পশ্চাৎপটে ক্রিয়াশীল থাকে ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক কবিদের বিভিন্ন কাব্যপ্রয়াস। এ কারণে, যার হৃদয়ে কল্পনার প্রতিভা নেই—আর কল্পনা যদিওবা থাকে, যদি না-থাকে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার স্বাতন্ত্রিক নির্যাস—তবে জীবনানন্দ তাঁকে, হতে পারেন তিনি বহুলপ্রজ এমনকী খ্যাতিমান কবিতালেখক, ‘কবি’ বলতে প্রস্তুত নন।

কল্পনার প্রতিভা কি—তা স্পষ্ট করেন নি জীবনানন্দ। ইমানুয়েল কান্টের (১৭২৪-১৮০৪) সময় থেকেই শিল্পসৃষ্টিতে রসধমরহধঃরড়হ বা কল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কান্ট যেমন ইঙ্গিত করেছেন, কল্পনার প্রতিভা হলো—যা দৃশ্যমান নয় তা প্রত্যক্ষ করবার—এবং একজন শিল্পীর জন্য—চিত্রায়নের ক্ষমতা; কবির জন্য ‘বোধ’ সৃষ্টির; তা হতে পারে স্মৃতিসঞ্জাত বা অভিজ্ঞতাপ্রসূত এমনকী হতে পারে, আলেকজান্ডার বমগার্টেনের (১৭১৪-১৭৬২) ভাষ্যে অভ‚তপূর্ব, অর্থাৎ অনদৃষ্ট, যা—এমনও হতে পারে—কেবল কবিতার মধ্য দিয়েই উপলব্ধ হবে। স্বীয় অভিজ্ঞতার গহন থেকেই উঠে আসে কল্পনালব্ধ বোধ, কবি তাকে ধারন করেন শব্দপুঞ্জে। তাহলে, জীবনানন্দের ভাষ্য ব্যাখ্যা ক’রে বলা যেতে পারে কবি তিনি যিনি অনুপলব্ধ অভিজ্ঞতার জন্ম দিতে পারেন এবং পাঠককে নিয়ে যেতে পারেন এই অনুপলব্ধ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।
কবির কাজ কবিতা সৃষ্টি করা কিন্তু কবি ইচ্ছে করলেই কবিতা লিখে ফেলতে পারেন না কেননা, জীবনাননেদ্র ভাষায়, কবিতা ‘চিন্তার ব্যায়াম’ নয়। কবিতার জন্মরহস্য বর্ণনাতীত একটি ঘটনা। কোনও কবির পক্ষেই বলা সম্ভব নয়, আজ আমি একটি কবিতা লিখবো। কবিতা লেখার শর্ত হলো কবির মনে বিশেষ একটি ভাবনা বা চিন্তার স্বয়ম্ভূ স্ফূরণ। অনেক কবিই বলেছেন, প্রথমতঃ একটি পংক্তি হঠাৎ ক’রে জন্ম নেয়। জীবনানন্দের ভাষ্যে: কবিতা কোন এক বিশেষ মুহূর্তে কবিমনের সততাপ্রসূত অভিজ্ঞতা ও কল্পানপ্রতিভার দৈব সন্তান। কবিতার সংজ্ঞার্থে ‘দৈব সন্তান’ কথাটি অনিবার্য। দৃশ্যতঃ কবিতা মানুষের অধিগম্য শব্দসমষ্টির বিন্যাস মাত্র, কার্যতঃ গভীর সৌন্দর্যের উৎস। কবিতা শব্দের সমষ্টি হলেও মানুষের অনুভ‚তিতে সৃষ্টি করে বিশেষ একটা রস, সঞ্চারিত করে বিশেষ একটি আবেগ যা মানুষের উপলব্ধিতে জাগিয়ে তুলতে পারে বিশেষ তৃপ্তিবোধ এবং অনির্বচনীয় আনন্দোচ্ছলতা। কিন্তু কবিতা সকলের জন্যে নয়, অনেকের জন্যেও নয়। কবিতা কেবল কবিতাবোদ্ধাদের জন্য; জীবনানন্দ নিঃসংশয়ে মনে করেন শ্রেষ্ঠ কবিতা হলেই তা গণমানুষের কাছে প্রিয়ভাজন হয়ে উঠবে তা নয়।
জীবনানন্দ কাব্যের এবম্বিধ উদ্দেশ্য সম্পর্কে অভিন্নমত পোষণ করেন নি। কবি শেলীও করেন নি। জীবনানন্দের মতে ‘কবিতা’ এবং ‘পদ্য’ অভিন্ন হতে পারে না; ‘পদ্য’ —যার ভিতর সমাজ-শিক্ষা, লোকশিক্ষা ও মতবাদের অধিষ্ঠানই মুখ্য—কবিতা থেকে পৃথক; পদ্যের প্রভাব ক্ষণস্থায়ী, পাঠককে দিতে পারে না সম্ভোগানন্দ; পাঠক বড়জোর নিম্নস্তরের তৃপ্তি বোধ করতে পারে। সাংবাদিকী ও প্রচারমর্মী রচনার সঙ্গে কবিতার পার্থক্য এই যে, প্রথমোক্ত জিনিসগুলোর ভিতর অভিজ্ঞতাবিশোধিত ভাবনা-প্রতিভার মুক্তি, শুদ্ধি ও সংহতি কিছুই নেই ; কবিতায় তা আছে।
কবির বৈশিষ্ট্য, কবিতা ও কবিতাসৃজন প্রক্রিয়া এই তিনটি বিষয় নিয়েই স্বীয় উপলব্ধি ব্যক্ত করেছেন জীবনানন্দ বিভিন্ন রচনায়। এক পর্যায়ে জীবনানন্দ সিদ্ধান্ত করেছেন, “কবিতা ও জীবন একই জিনিসেরই দুইরকম উৎসারণ”। ১৯৫৪ তে প্রকাশিত “শ্রেষ্ঠ কবিতার” ভূমিকায় তিনি লিখেছেন, “ . . . কবিতা অনেক রকম।” তিনি আরও লিখেছেন, “কবিতাসৃষ্টি ও কাব্যপাঠ দুই-ই শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি-মনের ব্যাপার; কাজেই পাঠক ও সমালোচকদেও উপলব্ধি ও মীমাংসায় এত তারতম্য।” নিজের কবিতা সম্পর্কে তিনি যা লিখেছেন তা-ও প্রণিধানযোগ্য, “আমার কবিতাকে বা এ কাব্যের কবিকে নির্জন বা নির্জনতম আখ্যা দেওয়া হয়েছে; কেউ বলেছেন এ কবিতা প্রধানত প্রকৃতির বা প্রধানত ইতিহাস ও সমাজ-চেতনার, অন্য মনে নিশ্চেতনার; কারো মীমাংসায় এ কাব্য একান্তই প্রতীকী; সম্পূর্ণ অবচেতনার, সুররিয়ালিস্ট। আরো নানারকম আ্যখা চোখে পড়েছে। প্রায় সবই আংশিকভাবে সত্য--কোনো কোনো কবিতা বা কাব্যেও কোনো কোনো অধ্যায় সম্বন্ধে খাটে; সমগ্র কাব্যের ব্যাখ্যা হিসেবে নয়।
বুদ্ধদেব বসু বলেছিলেন যে, কবি জীবনানন্দ দাশ নিজের জন্য একটি স্বতন্ত্র কাব্য-ভাষা আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু তাঁর গদ্য ভাষারীতিও বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। তাঁর প্রবন্ধগুলোর বাক্য গঠনরীতি সমসাময়িককালে সুপরিচিত ছিল না। এমনকী মনোযোগী পাঠকের কাছেও তা জটিল প্রতীয়মান হতে পারে। প্রবন্ধের ভাষায় জীবনানন্দ দাশ প্রায়শঃ একটি বাক্যের ভেতরে একাধিক অনুবাক্যকে ধারন করার প্রয়াস পেয়েছেন। ফলে বাক্য কেবল দীর্ঘায়িত হয়নি, এর গঠনে অনুপ্রবেশ করেছে জটিলতা। তিনি বিশেষ ক’রে মূল বাক্যের জরায়ুতে যতি-চিহ্ন-চিহ্নিত নতুন বাক্য জুড়ে দিয়ে বক্তব্যকে সংহত রূপ দেয়ার প্রয়াস পেয়েছেন। একটি বাক্যের শর্তসাপেক্ষে কমা বা সেমিকোলন দিয়ে আরেকটি বাক্য জুড়ে দেয়া হয়েছে। সেখানেই শেষ নয়, পূর্ণরূপ বাক্য শেষে সেমিকোলন দিয়ে নতুন বাক্য জুড়ে দেয়া হয়েছে, পরবর্তী বাক্য পূর্ববর্তী বাক্যের বিশেষণ হিসেবে কাজ করেছে। এর ফলে বাক্য দীর্ঘ ও জটিল রূপ লাভ করেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো একটি বাক্যের সমর্থনে আরেকটি বাক্য অনুপ্রবিষ্ট করিয়ে দেয়া যার উদাহরণ প্রথম বাক্যেও ‘কবিতার কথা’ নামীয় প্রবন্ধের প্রারম্ভিক অনুচ্ছেদ।‘কবিতার কথা’ প্রবন্ধটির প্রারম্ভিক বাক্যটি হ্রস্ব হলেও অব্যবহিত পরেই তিনি দীর্ঘ বাক্যের ঘন বুনোট গড়ে তুলেছেন। ‘এবং, ‘ও’ ইত্যাদি অন্বয়মূলক পদ এবং ’কমা’, ‘সেমিকোলন‘, ‘ড্যাশ‘ প্রভৃতি যতিচিহ্নের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এমন একটি গদ্যভাষা যার সঙ্গে সমকালীন বাঙালি লেখক-পাঠকের আদৌ পরিচয় ছিল না। বস্তুত তাঁর প্রবন্ধগুলোর বাক্য গঠনরীতি সমসাময়িককালে সুপরিচিত ছিল না। এমনকী মনোযোগী পাঠকের কাছেও তা জটিল প্রতীয়মান হতে পারে।

একটু চাওয়া ।। শেখ সাদী মারজান

হৃদয়ে আমার ব্যাথার পলেস্তা
চোখের দৃষ্টি ধূসর
ক্রমেই বাড়ছে অস্থিরতা।

বোশেখে দেখা পেয়েছিলাম
আবার বসন্ত এসেছে
কোকিল কুহু ডাকছে
আর আমার মন চাইছে
একটু তোমার দেখা।

অন্তর্জালে টোকা দেই বারবার
মন খুবই চায় 
পাশে একটু পাবার।

সুন্দর-শান্তি-সম্প্রীতি-ভালবাসার দূত সামি ইউসুফ ।। শেখ সাদী মারজান

বিশ্বসাংস্কৃতিক অঙ্গনজুড়ে চলছে যখন বেহায়াপানার প্রতিযোগিতা, অশ্লীলতার ছড়াছড়ি এমন একটি সময় সুস্থ-সুন্দর সঙ্গীতের ডালি নিয়ে বিশ্বসাংস্কৃতিক অঙ্গনে পা রাখলেন সামি ইউসুফ।
সামি ইউসুফ শুধুমাত্র একজন ইরানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সেলিব্রেটি নন। দ্য গর্ডিয়ান পত্রিকার মতে ‘মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ব্রিটিশ তারকা’। টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে সবচেয়ে বিখ্যাত ইসলামিক সঙ্গীত তারকার খেতাব দিয়েছেন। বিশ্বখাদ্য কর্মসূচীর মতো মানবিক প্রচেষ্টায় শামিল হয়েছেন সামি ইউসুফ।  জাতিসংঘ তাঁকে নিযুক্ত করেছে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচীর স্থায়ী রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বশান্তি-সম্প্রীতির সহায়তাকারী হিসেবে ।
বিশ্বজুড়ে রেডিও, টিভি, কনসার্ট হল, স্টেডিয়াম, সিটি স্কয়ার সহ অনেক জায়গাতে শোনা যায় তাঁর কণ্ঠস্বর। তাঁর কনসার্টে লক্ষ লক্ষ দর্শক-শ্রোতার সমাগম হয়ে থাকে। লক্ষ লক্ষ মানুষের কৌতুহল ছিল তাঁর সম্পর্কে, তারা জানতে চেয়েছেন সামির সম্পর্কে। সামি ইউসুফ তাঁর প্রতিভার চিহ্ন রেখেছেন সময়ের তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি। সে একাধারে  একজন কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সঙ্গীতযন্ত্র বিশেষজ্ঞ এবং প্রযোজক। সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর মানবিক কাজসমূহ।
সামির সঙ্গীত ক্যারিয়ারের শুরুতে, প্রায় ১৫ বছর আগে তার গানগুলোকে- পবিত্র, আধ্যাতিœক ও গভীর তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে মনে করা হতো। তাঁর প্রথম এ্যালবাম বিক্রি হয়েছিল ৩৪ মিলিয়ন কপি । কিন্ত এই এ্যালবামের বিক্রির সংখ্যার দ্বারা সামির ইউসুফের গানের প্রভাবকে গুরুত্ব দেয়া যায়  না। তাঁর সঙ্গীতের মধ্যে রয়েছে পবিত্র ভালবাসা, বিশ্বশান্তির বার্তা, মানবিকতা, সুন্দর জীবনের আকাঙ্খা ইত্যাদি।


কবিতা আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।। শেখ সাদী মারজান


শৈশব থেকেই আমি কবিতার প্রেমে পড়েছি। পাঠ্য বইয়ের সবগুলো কবিতা মুখস্ত থাকতো। প্রাইমারী স্কুলে পড়াকালীন, বছরের শুরুতে নতুন বই পাওয়ার পর প্রথমে কবিতাগুলো পড়ে শেষ করতাম। পাঠ্য বইয়ের মধ্যে বাংলা বই ছিল বেশি প্রিয়। কারণ, বাংলা বইতে রয়েছে কবিতা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে পড়াকালেও কবিতা-ই আগে পড়া হতো। আর এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি ‘ইংরেজি সাহিত্য’ বিষয়ে, এখানে বিখ্যাত কবিদের কবিতা পড়ছি।
আমার লেখালেখির শুরুটা হয়েছিল কবিতা দিয়ে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন- জেলা শহর হতে প্রকাশিত একটি সময়িকীতে আমার কবিতা ছাপা হয়। তারপর আস্তে আস্তে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাময়িকীতে কবিতা-গল্প-ফিচার-নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। আমার প্রেম কিন্ত কবিতার সাথেই । কবি ওয়ার্ডস ওয়ার্থ কবিতা সম্পর্কে বলেছেন- The spontaneous overflow of powerful feelings: it takes its origin from emotion recollected in tranquility" আমার মনের একান্ত কথা, যন্ত্রণা, স্বপ্ন, বিক্ষিপ্ত ভাবনা সবকিছু আমি কবিতার মধ্যেই বলতে পারি।
উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হই ঢাকার একটি কলেজে। প্রখ্যাত আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফার হাত ধরে তখন থেকেই জড়িয়ে পড়ি আবৃত্তি সংগঠনের সাথে। আবৃত্তি গেঁথে যায় আমার জীবনের সাথে।
কবিতার জন্য ছুটে বেড়াই দেশের প্রান্তে-প্রান্তে। দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে প্রতিবেশি দেশেও গিয়েছি শুধু কবিতার জন্য। কবিতা আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।  

বাংলাদেশের আবৃত্তিচর্চা ।। শেখ সাদী মারজান

ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর । একটি মুক্তমঞ্চ। প্রতি বছর ডিসেম্বরের কোন এক শুক্রবারে ‘বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমী’র আয়োজনে এই মঞ্চে ‘শিমুল মুস্তাফা’ ৭১টি কবিতা আবৃত্তি করেন। দর্শক-শ্রোতা উপস্থিত থাকেন দশ হাজারেরও বেশি। প্রায় পাঁচ ঘন্টা মুগ্ধচিত্তে তাঁরা আবৃত্তি শোনেন।
বিভিন্ন দিবস কেন্দ্র করে আবৃত্তি অনুষ্ঠান সাধারণ ব্যাপার। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আবৃত্তির অনুষ্ঠান হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায়Ñ পাবলিক লাইব্রেরীর শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা, সংগীত-নৃত্য-আবৃত্তি মিলনায়ন, সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র, বিশ^সাহিত্য কেন্দ্র এবং চট্রগ্রামে- থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্রগ্রাম শিল্পকলা একাডেমী ইত্যাদি জায়গাগুলো আবৃত্তি অনুষ্ঠানের জন্য প্রসিদ্ধ। উল্লেখযোগ্য আবৃত্তি প্রযোজনা-  শেষ দৃশ্যের পরে (নন্দনকানন), রাধা কৃষ্ণের পদাবলী (কন্ঠশীলন),তাহাদের কথা (নন্দনকানন), সত্যিকারের রূপকথা (বৈকুণ্ঠ), জননী যন্ত্রণা (বৈকুণ্ঠ) প্রাক যুগে পুরো ভাগে (আবৃত্তি সংসদ কুমিল্লা), অন্তরালে (নন্দনকানন), বৃদ্ধাশ্রম (ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা)।  এছাড়াও বিভিন্ন দিবসে বেতার-টেলিভিশনে আবৃত্তির অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের পর আবৃত্তি বেতার কেন্দ্রভিত্তিক হয়ে পড়ে। চল্লিশের দশকের শেষ দিকে বেতারে কবি ফররুখ আহমদ, শাহ্দাৎ হোসেন, সিকান্দার আবু জাফর নিজের রচিত কবিতা আবৃত্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে শুরু করেন। ক্রমে ক্রমে আবৃত্তি অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত হন আরো অনেকে।
১৯৫২ সনের মহান ভাষা আন্দোলনের পর প্রতি বছর একুশে উদযাপনের অনুষ্ঠানমালায় আবৃত্তি একটি মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মঞ্চে, রাস্তায়, মোড়ে, মহল্লায়, মফস্বলে, বিভিন্ন অঞ্চলের শহীদ মিনারে আবৃত্তি জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ১৯৬৬,৬৮,৬৯,৭০,৭১ এর দেশব্যাপী প্রবল আন্দোলনের জনজোয়ারকে উদ্দীপ্ত করার জন্য আবৃত্তি এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আবৃত্তি-কথিকা পাঠ জাতীয় জাগরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এক সময় বাংলাদেশে যাঁরা আবৃত্তি করতেন তাঁরা সকলেই ছিলেন অভিনেতা, গায়ক, বেতার ঘোষক। আবৃত্তি ছিল তাঁদের কাছে সখের চর্চা বা দ্বিতীয় মাধ্যম।
বাংলাদেশে আবৃত্তি জনপ্রিয় হতে থাকে আশির দশকের শেষ দিক ও নব্বই দশকের শুরু  থেকে । নব্বইর দশকে ‘শিমুল মুস্তাফা’ দেশের আনাচে কানাচে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবৃত্তির অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আবৃত্তি পৌঁছে দেন গণমানুষের হৃদয়ে। তাঁর আবৃত্তির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন কয়েকজন কবি, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হেলাল হাফিজ।

১৯৭৫ সালে গঠিত হয় প্রথম আবৃত্তি সংগঠন ‘আবৃত্তি সংসদ’। এই দশকে দ্রুত বিকাশ লাভ করে আবৃত্তি সংগঠন-সেই সাথে সংগঠনগুলোর মধ্যে আন্তরিক যোগসূত্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তাও অনুভূত হতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। বর্তমানে সারাদেশে মোট ৪৭১টি আবৃত্তি সংগঠন রয়েছে এর মধ্যে ৩৭টি ঢাকায় । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যÑ বৈকুণ্ঠ, কণ্ঠশীলন, মুক্তধারা, স্বরশ্রুতি, ত্রিলোক, সংবৃতা, বোধন, উচ্চারক, প্রমা, স্রোত, স্বরকল্পন, বোধন ও উদীচী। শিল্পকলা একাডেমীতে পৃথক আবৃত্তি বিভাগ রয়েছে।   আবৃত্তি কর্মশালা সাধারণত সংগঠন ভিত্তিক হয়ে থাকে । প্রতিটি কর্মশালায় অনেক তরুণ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবাই যে আবৃত্তি শিল্পী হয় তা নয়। অনেকে হয়ে থাকে আবৃত্তিকর্মী। আবৃত্তি শিল্পী না হতে পারলেও অন্তত বাংলা প্রমিত উচ্চারণ শিখতে পারে। টেলিভিশন সংবাদ পাঠকদের অধিকাংশই শুদ্ধ উচ্চারণ শিখতে দ্বারস্থ হয় আবৃত্তি সংগঠনগুলোর। 
আবৃত্তি অঙ্গনে যাঁদের কর্মকা- বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য-  তারিক সালাাহউদ্দিন মাহমুদ, নরেন বিশ্বাস, গোলাম মুস্তাফা, আশরাফুল আলম,  হাসান ইমাম, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, নাজিম মাহমুদ, আসাদুজ্জামান নুর,  ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, জয়ন্ত চক্রবর্তী,  শিমুল মুস্তাফা, মাহিদুল ইসলাম, আহকাম উল্লাহ, গোলাম সারওয়ার, মীর বরকত, রুপা চক্রবর্তী, রফিকুল ইসলাম, নাসিম আহমেদ, শাহাদাত হোসেন নিপু, মাসুম আজিজুল বাসার, মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, মজুমদার বিপ্লব, ফখরুল ইসলাম তারা, রাশেদ হাসান, তামান্না তিথি, নাঈমা সিদ্দিকা, মেহেদী হাসান, বেলায়েত হোসেন, সাফিয়া খন্দকার রেখা, রেজীনাওয়ালী লীনা, সোহেল আনোয়ার, শামসুদ্দোহা, রাশেদ হাসান, নাজমুল আহসান, তামান্না ডেইজী, নাঈম সারোয়ার ও আবু নাছের মানিক। 
গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন- শিমুল মুস্তাফা, কামরুল হাসান মঞ্জু, মাহিদুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, নাজমুল আহসান ও মাসুম আজিজুল বাসার।
 আশি-নব্বইর দশকে আবৃত্তিচর্চা সংগঠন নির্ভর হলেও এখন আবৃত্তি কর্মীরা অনেকটা ব্যক্তিগতভাবেও চর্চা করতে পারে। বিশেষ করে তরুণরা বের হয়ে এসেছে সংগঠনের গণ্ডি থেকে। নিজেরাই আবৃত্তির এলবাম প্রকাশ ও মার্কেটিং করতে পারছে। অন্তর্জালের মাধ্যমে বিশেষ করে ইউটিউবের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারছে তাদের কর্ম। এমনকি ওয়েলকাম টিউনে শোনা যায় তাদের আবৃত্তি । পেশাদারিত্বের জায়গায় কিছুটা হলেও পৌঁছাতে পেরেছে আবৃত্তিশিল্প।  বাংলাদেশে আবৃত্তি শিল্পের ভবিস্যৎ  সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল।

What is poem ?



 A piece of writing that partakes of the nature of both speech and song that is nearly always rhythmical, usually metaphorical, and often exhibits such formal elements as meter, rhyme, and stanzaic structure.

A composition in verse, especially one that is characterized by a highly developed artistic form and by the use of heightened language and rhythm to express an intensely imaginative interpretation of the subject.




Poetry (the term derives from a variant of the Greek term, poiesis, "making") is a form of literature that uses aesthetic and rhythmic qualities of language—such as phonaesthetics, sound symbolism, and metre — to evoke meanings in addition to, or in place of, the prosaic ostensible meaning. 

Poetry has a long history, dating back to the Sumerian Epic of Gilgamesh. Early poems evolved from folk songs such as the Chinese Shijing, or from a need to retell oral epics, as with the Sanskrit Vedas, Zoroastrian Gathas, and the Homeric epics, the Iliad and the Odyssey. Ancient attempts to define poetry, such as Aristotle's Poetics, focused on the uses of speech in rhetoric, drama, song and comedy. Later attempts concentrated on features such as repetition, verse form and rhyme, and emphasized the aesthetics which distinguish poetry from more objectively informative, prosaic forms of writing.

কবিতা ও আবৃত্তি ।।। শেখ সাদী মারজান


আবৃত্তিতে প্রয়োজন শব্দের সঠিক উচ্চারণ, সঠিক স্বরক্ষেপণ এবং হৃদয় উৎসারিত আবেগের সঠিক প্রকাশ।  আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা বলেছেন, ‘ আবৃত্তি শুধুমাত্র কণ্ঠের শিল্প নয়, বোধেরও শিল্প।’

কবি উপমা, উৎপ্রেক্ষা, চিত্রকল্প, রূপক, ছন্দ ইত্যাদি মিশ্রিত করে কবিতা লিখেন। কবিতার প্রতিটি লাইন কবির হৃদয় উৎসারিত বাণী। কবিকে কখনও একটি শব্দের জন্য অনেক সাধনা করতে হয়। কবির চিন্তা-চেতনা, পরিশ্রম ও সাধনার ফসল কবিতার একেকটি লাইন। আবৃত্তিশিল্পী তাঁর অন্তর উৎসারিত শক্তির বলে, স্বরবৈচিত্র্যে কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেন, যা কবিতা প্রেমি বা শ্রোতার কাছে পোঁছে যায় । 
কবিতাকে  পাঠক বা কবিতা অনুরাগীর কাছে সহজে ব্যপকভাবে পৌঁছে দেয় কবিতাটির সঠিক আবৃত্তি। আবৃত্তিকার কবিতাকে পরিপূর্ণ জীবন দেয়। আবৃত্তি কবিতার শ্রেষ্ঠ প্রচার মাধ্যমও। প্রতিটি কবিতার একটি নিজস্ব শক্তি রয়েছে, আবৃত্তির ফলে কবিতার নিজস্ব শক্তির সাথে আরো কিছু যোগ হয়। তবে পৃথিবীর সুবিশাল কাব্যভা-ারের সব কবিতাই আবৃত্তিযোগ্য নয়। কিছু কবিতা আবৃত্তি উপযোগী।     
কবি কবিতা লিখেন । আবৃত্তিকার আবৃত্তি করেন। কবি যদি কবিতা না লিখতেন, তাহলে আবৃত্তিকার বা আবৃত্তিশিল্পী কি আবৃত্তি করতেন ? আবার একজন গুনী আবৃত্তিশিল্পী একটি কবিতাকে আবৃত্তির মাধ্যমে অনেকদূর নিয়ে যেতে পারেন। আবার তথাকথিত কিছু আবৃত্তিকারের ভুল বা অপেক্ষাকৃত নীচু মানের আবৃত্তি কবিতাকে হত্যা করে। আবৃত্তিকার  কবিতা বারবার পাঠ করে মস্তিষ্কে ধারণ করেন কবিতার প্রতিটি লাইন। নতুন কোনো মানসম্মত কবিতা আবৃত্তি করে তরুণ আবৃত্তিকার নিজেকে পরিচিত করে তুলতে পারেন সাহিত্য মহলে। যেহেতু আবৃত্তির কোনো স¦রলিপি নেই সেহেতু কবিতার আবৃত্তি নির্মাণ সম্পূর্ণ আবৃত্তিকারের নিজস্ব এখতিয়ার। সুন্দর, সঠিক ও হৃদয় ছোঁয়া নির্মাণ গুণী আবৃত্তিশিল্পীর বৈশিষ্ট্য। কিন্ত শব্দের সঠিক উচ্চারণ করতে হবে উচ্চারণ রীতি মেনেই, গুণী আবৃত্তি শিল্পীরা শব্দের সঠিক উচ্চারণ রীতি মেনেই করে থাকেন। বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী কামরুল হাসান মঞ্জু তাঁর আবৃত্তি বিষয়ে নানা ভাবনায় তিনি বলেছেন ‘যে আবৃত্তিশিল্পী  যত বেশি জীবন পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বাড়াতে পারবেন তিনি তত বেশি গতিবেগ দিতে পারবেন তাঁর আবৃত্তিতে। জীবনানুসন্ধানে পারদর্শী হওয়া, জীবনের উত্থান-পতনের কারন ও তার গতি-প্রকৃতির নিয়ন্ত্রক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকলেই সংবেদনশীল আবৃত্তিশিল্পী নতুন ধারার আবৃত্তি চর্চায় সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখতে পারবেন। 

যেহেতু আবৃত্তি একটি জনগ্রাহ্য শিল্পমাধ্যম সেহেতু এর নিয়ম কানুন রয়েছে। শিল্প চর্চা করে ধারণ করতে হয় এ কথা আমরা সবাই জানি। সুতরাং আবৃত্তি শিল্পী হতে হলে- আবৃত্তির চর্চা করতে হবে। চর্চা ব্যতীরকে আবৃত্তি সম্ভব নয়। আবৃত্তির চর্চা বলতে শুধুমাত্র কণ্ঠের চর্চা নয়, প্রয়োজন গভীর জীবনবোধ ও জীবন সম্পর্কে নানা উপলব্ধি।

অগোছালো জীবন ।। শেখ সাদী মারজান

এক জীবনকে অনেক ব্যস্ত রেখেছি। সময়কে ঠিকঠাক সাজাতে পারিনি । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথোপকথনে গভীর রাতেও উত্তর- একটু কাজ করছি। আর কিছুক্ষণ, তারপর হয়তো …..

হোয়াইট হেলমেট বা সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা ।।। শেখ সাদী মারজান

পাঁচ বছর ধরে সিরিয়ায় চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। প্রতিদিন নিরীহ সিরিয়ার মানুষ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রের আঘাতে জীবন হারাচ্ছে। কখনও বোমা হামলা, কখনও রাসায়নিক হামলা, আবার কখনও রকেট লাঞ্চার হামলার মাধ্যমে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সাধের বসতি।
সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে নিরীহ মানুষের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে সরাসরি কাজ করছে এমন একটি সংগঠন হচ্ছে- হোয়াইট হেলমেট বা সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা।
উদ্ধার কাজে হোয়াইট
 হেলমেট
‘হোয়াইট হেলমেট’ একটি মানবিক সংগঠন। নিরস্ত্র ও নিরপেক্ষ সংগঠন । যখন সিরিয়ার কোথাও বোমা হামলা হচ্ছে সবার আগে সেখানে ছুটে যাচ্ছে ‘হোয়াইট হেলমেট’। তাঁরা সিরিয়ার ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবন বাজি রেখে মানুষকে উদ্ধার করছে । বিশেষ করে শিশুদের। অথচ কিছু পশ্চিমা মিডিয়া তাঁদের গায়ে জঙ্গিবাদের কলঙ্ক লাগানোর চেষ্টা করেছিল । অবশ্য তারা (পশ্চিমা মিডিয়া) এ ক্ষেত্রে সফল হতে পারে নি ।
আবার ‘হোয়াইট হেলমেট’কে অনুদান দেয় কিছু পশ্চিমাদেশ । ২০১৬ সালে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীত হয়েছিল ‘হোয়াইট হেলমেট’।
‘হোয়াইট হেলমেট’ দুই ধাপে কাজ করে। প্রথম ধাপ হচ্ছে- তাদের উদ্ধার কর্ম। এক্ষেত্রে তারা এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে ও অগ্নিনির্বাপন করে। দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে- হেলমেট ক্যামেরা ও হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরার মাধ্যমে দেশের কোথায় কি হচ্ছে তার তথ্য রেকর্ড করা।
হোয়াইট হেলমেট এর সদস্য আবিদ বলেন ‘যখন আমরা কারো জীবন বাঁচাতে চাই, তখন আমরা একটুও চিন্তা করি না যে, সে আমাদের বন্ধু না শত্রু। আমরা উদ্বিগ্ন থাকি, আমাদের মনোযোগ থাকে তার জীবনের দিকে’।
যাই হোক ‘হোয়াইট হেলমেট’ মানুষের জন্য কাজ করছে। সিরিয়ার নিরীহ মানুষের পাশে তাঁরা সরাসরি আছে, জীবন বাজি রেখে দায়িত্বপালন করছে।

একুশ মানে ।।। শেখ সাদী মারজান

একুশ মানে প্রত্যয় 

একুশ মানে নির্ভয়

আঁধার মুছে দিয়ে

উজ্জ্বল আলোময়।


একুশ মানে দুর্জয়

একুশ মানে অক্ষয়

কথা সবময়

শুদ্ধ বাংলায়।


এখানে আলোর বিলাপ, আঁধারের হাসির বিরুদ্ধে প্রলয়সম প্রতিবাদের প্রতিশ্রুতি

শায়েখ শোয়েব:
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম টিএস এলিয়টের কবিতা ‘দি ওয়েস্টল্যান্ড’ কবিতাটি এলিয়ট শুরু করেছিলেন
`April is the crulest month’
এই পংক্তি দিয়ে, এপ্রিল বসন্তের সপ্রাণ স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে প্রকৃতিতে, কিন্ত এলিয়ট সেই বাসন্তী আলোয় অনুভব করেছিল অন্ধকারের নিষ্ঠুরতা। সমকালের বহুমাত্রিক প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ প্রচন্ড আক্ষেপ থেকে লিখেছিলেন ‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ সেখানেও অশুভ অন্ধকার গ্রাস করছে শ্বেতশুভ্র আলোকে। আর সপ্রাণ সংস্কৃতিকর্মী শেখ সাদী মারজান সাহিত্যের মায়াবী মৃত্তিকায় অঙ্কুরোদগম হলো ‘আলোর বিলাপ আঁধারের হাসি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে। এখানে আলোর বিলাপ, আঁধারের হাসির বিরুদ্ধে প্রলয়সম প্রতিবাদের প্রতিশ্রুতি . . . . 

তরুন কবি-আবৃত্তিকার শেখ সাদী মারজানের ‘আলোর বিলাপ আঁধারের হাসি’ আটচল্লিশ পৃষ্ঠার বইটিতে মোট চল্লিশটি কবিতা রয়েছে। প্রকাশ করেছে- বাবুই প্রকাশনী, প্রচ্ছদ একেছেন হোসাইন মেবারক। 
মূল্য:৯০টাকা।

শেখ সাদী মারজা‌নের কাব্যগ্রন্থ আ‌লোর বিলাপ আঁধা‌রের হাসি

অমর একু‌শে বই‌মেলায় তরুণ ক‌বি-আবৃ‌ত্তিকার শেখ সাদী মারজা‌নের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আ‌লোর বিলাপ আঁধা‌রের হা‌সি' প্রকা‌শিত হ‌য়ে‌ছে । বুধবার সন্ধ্যায় মোড়ক উ‌ন্মোচন ম‌ঞ্চে বই‌টির মোড়ক উ‌ন্মোচন ক‌রেন- স্বাধীন বাংলা বেতার কে‌ন্দ্রের শব্দ‌সৈ‌নিক মনোরঞ্জন ঘোষালসহ সমকালীন ক‌বিবৃন্দ। বই‌টি প্রকাশ ক‌রে‌ছে - বাবুই প্রকাশনী, প্রচ্ছদ ক‌রে‌ছেন- হোসাইন মোবারক । তিন ফর্মার   বই‌টি‌তে র‌য়ে‌ছে চ‌ল্লিশ‌টি ক‌বিতা, গা‌য়ের মূল্য রাখা হ‌য়ে‌ছে নব্বই টাকা । বই‌টি পাওয়া যা‌চ্ছে- অমর একু‌শে  বই‌মেলায়- বাবুই  প্রকাশনী স্টল নং ৪০৫, সপ্তবর্ণ স্টল নং ৬১৯, লি‌টিলম্যাগ কর্ণা‌রের গল্পকার ও চল‌ন্তিকার স্ট‌লে । এছাড়াও রকমা‌রি ডটক‌মে বই‌টি পাওয়া যা‌চ্ছে ।



amarfaridpur.com

স্বাধীন জাতির স্বাধীন‌ পিতা একটি সফল প্রযোজনা ।। শেখ সাদী মারজান

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলো জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হ...