আমরা বাঙালি

আমাদের এক ভাষা, আমরা এক জাতি
আমরা বাঙালি একসাথে উৎসবে মাতি
আমাদের এক ভূখণ্ড, একই শরীর গঙ্গা-পদ্মা
আছে সহস্র বছরের ইতিহাস মুছতে পারবেনা।
আমাদের ঈদ আমাদের পূজা
আজানের সুর আরতির শাখ
আমাদের বর্ষা শরত-বসন্ত আর পহেলা বৈশাখ
হাজার বছর হাজার যুগ একসাথে বেঁচে থাক

আবৃত্তি ।। শেখ সাদী মারজান

আবৃত্তি শিল্প হাজার বছর আগেও ছিল, পরেও থাকবে
কোরআন ও গীতায় আছে, সত্য-সুন্দরের সাথে আছে
মিশে ছিল-আছে-থাকবে সতত শিল্পিত জীবনের সাথে
শুদ্ধ উচ্চারণে প্রতিটি শব্দ পৌঁছে দেয় মানুষের কানে



দেবতা ভেবে ।। শেখ সাদী মারজান

দেবতা ভেবে তোমাদের পায়ে আমি অর্ঘ্য ঢেলেছি
আমার ক্ষুদ্র হৃদয় তোমাদের সেবায় শপে দিয়েছি
দিবানিশি ছুটেছি আমি পাগলা ঘোড়ার ন্যায়
কোনো কিছু না ভেবে শুধু তোমাদের কথায়
ভালবাসার প্রতিদানে অবহেলা পেয়েছি
তোমারদের স্বার্থে শুধু ব্যবহৃত হয়েছি
অতঃপর তোমাদের আসল দেবতা-রুপ দেখেছি
শত বিভ্রান্তির ভাজ খুলে আজ আমি বুঝেছি

তোমরা সুশীল-সভ্য-সুন্দর দেবতা রুপী হায়েনা
তোমাদের কখনোই ভালো মানুষ বলা যায়না

debota vebe দেবতা ভেবে - কবি শেখ সাদী মারজান


মালা জড়ানো ছবি ।। শেখ সাদী মারজান

অনলাইন পাগল শোভনের পরিচয় হয় আলট্রামডার্ন মেয়ে শ্বেতার সাথে। শ্বেতায় মগ্ন হয় শোভন । দিন-রাত সবকিছুই যেন শ্বেতা।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা না দিলে ভালো লাগেনা শ্বেতার । এ নিয়ে শোভনের সাথে মাঝে-মধ্যে একটু...। ঝগড়ার এক পর্যায়ে শ্বেতা বলে দেয়।
- তুমি আমার যোগ্য নও। আমি তোমার চেয়ে ভালো ছেলে আশা করি। কতো ছেলে আমার পিছে ঘুরে । এখন থেকে আমাকে বিরক্ত না করলে আমি খুশি হবো।
পরদিন সকালে শোভনকে ডাকছিল নাস্তা করার জন্য । দরজা খুলছিল না। ভেঙ্গে দেখলো শোভন ঝুলছে ফ্যানের সাথে ।
শোভনের মাল্য জড়ানো ছবি দেয়ালে ঝুলছে। শ্বেতা আগের মতোই বন্ধুদের সাথে মাস্তি করছে ।

শেখ সাদী মারজান এই কাব্য গ্রন্থে পরিণত চিন্তার ছাপ রেখেছেন ।। আবু রাইহান

চোখের জল ফেলা এত সহজ কথা নয়। কবি কোনদিন ফোঁস ফোঁস করে জনসমক্ষে কাঁদতে পারে না। প্রেমের কবিতায় সেই কথা উঠে আসে কবির মরমী কলমে। রাত্রি নিবিড় হলে প্রিয় জ্যোৎস্নায় বুকের গভীরে গোপন মরমী প্রেমের কথাগুলি সহজিয়া নারীর জন্য কবিতা হয়ে ঝরে পড়ে। সদ্য কলেজ পড়া শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখা শেখ সাদী মারজান একজন বিশ্বাসী মানুষ। দুচোখে মানুষের প্রতি প্রবল ভালবাসা, হৃদয়ে বিস্ময় ও অনন্ত জিজ্ঞাসা নিয়ে যৌবনে পথ চলা শুরু করেছিল। কিন্ত প্রিয়জনের বিশ্বাসহীনতায় হোঁচট খেয়ে ‍মুষড়ে না পড়ে কবিতার ভাষায় নিজের যন্ত্রনার দিনলিপি লিখে রেখেছেন তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ আলোর বিলাপ আঁধারের হাসি তে। কবিতার প্রতি নিবিড় ভালবাসার টানেই আবৃত্তি জগতে পা রেখেছিলেন কলেজ পড়ুয়া অবস্থায়। এখন তিনি দেশের একজন প্রতিশ্রুতিমান তরুণ আবৃত্তি শিল্পী। তাঁর গলার স্বরের অদ্ভূত মাদকতায় মুগ্ধ সব বয়সের কবি ও কবিতা প্রিয় পাঠক। বাংলাদেশের একুশে বইমেলায় প্রকাশ হতে যাচ্ছে তাঁর দ্বিতীয় কাব্য ‘রক্তমাখা প্রিয় বসন্ত’ ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্র শেখ সাদী মারজান এই কাব্য গ্রন্থে পরিণত চিন্তার ছাপ রেখেছেন। ব্যক্তিগত ভালবাসার জগৎটাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে।সারা বিশ্বজুড়ে মানবিকতার চুড়ান্ত অবমাননা, ক্ষমতা দখলের উন্মত্ততায় যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় অহরহ রক্তক্ষরণ কবিকে যন্ত্রণায় বিদ্ধ করে, বিমর্ষ করে। কবির আজন্মের চাহিদা ভালবাসার শান্তির নীড়ে স্বপ্নে টাল খেয়ে যায়। মনে আশা একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে। এই বিশ্বাসে যন্ত্রণা মুক্তির পথ হিসেবে লিখেন মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধে প্রেমের ভাষায় মানবিক প্রতিবাদের কবিতা। কবিতায় তাঁর এই উত্তরণ আমাদের আশান্বিত করে।

একটি গানের জন্য।। শেখ সাদী মারজান

এখন মধ্য রাত; চারপাশ নিস্তব্ধ
তন্দ্রামাখা চোখ দুটি জেগে আছে
একটি গানের জন্য
কাঙ্ক্ষিত সুরের জন্য উদ্বেলিত প্রাণ ।

চেষ্টার ঢিলগুলো ব্যর্থ হয়ে ফিরে বারবার
তবুও হাল ছাড়বার নয়
এ যে প্রাণের পরম চাওয়া
হৃদয়ে লালিত সুপ্ত স্বপ্ন ।

আহা কোথায় পাবো ?
তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের খোরাক!
কবি ইমরোজ সোহেলের হাত থেকে স্মারক গ্রহণ করছেন-  শেখ সাদী মারজান 




পথ খুঁজি নতুন এক জীবনের ।। শেখ সাদী মারজান

তারাদের মতো আমিও জেগে থাকি
তাকিয়ে থাকি মনিটরে
অন্তর্জালে পৃথিবী দেখি
স্বার্থপরের মতো নিজেকে শুধু ভাবি

অনেক হিসেব কষে, অবশেষে
ব্যর্থ জীবনের হতাশায়
পালিয়ে যায় স্বপ্ন-আশা 
পথ খুঁজি নতুন এক জীবনের

হৃদয় ছুয়ে যায় সামি ইউসুফের সুর
আই আম নাও ওয়াইটিং
ওয়াইটিং ফোর সামথিং
হে মালিক তুমি আমাকে শক্ত করো
শেখ সাদী মারজান 

আয়না ।। শেখ সাদী মারজান

প্রতিদিন একবার আয়নার সামনে দাড়াই
ঘর থেকে বের হবার ঠিক আগ মুহূর্তে
আয়নাতে নিজের মুখ দেখি
এলোমেলো চুলগুলো ঠিক করি
কপালের কাঁটা দাগটাও দেখি
একটি ব্যর্থ অবয়ব দেখি
সবকিছু পরিষ্কার দেখি
খুঁতগুলো দেখতে পাই নিখুঁতভাবে
অথচ শোধরানো হয়না কোনদিন
কাচের আয়না এতো কিছু দেখায়!
আমি শুধু দেখি, শুধুই দেখি
শেখ সাদী মারজান 

আগুন কাব্য ।। শেখ সাদী মারজান

আগুন থাকে ভাতের উনুনে আগুন থাকে শ্মশানে
আগুন ছিল রাজপথে আগুন ছিল ফাগুনে আগুন এখন নিমতলীতে চকবাজার ঘুরে বনানীতে আগুন এখন রাস্তা চিনে সিঁড়ি বেয়ে উঠে উঁচু তলায় সাধের বাড়ি, স্বপ্নপুরী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয় আগুন সে তো শক্তিশালী পানি ঢাললেই নিভে যায় আগুন সে তো অহঙ্কারী ইবলিসেরও পতন হয়
শেখ সাদী মারজান 


রক্তমাখা কোরআনের পাতা ।। শেখ সাদী মারজান

রক্তমাখা পবিত্র কোরআনের পাতা
রক্তে লাল মসজিদের আঙিনা
খোদার দরবারে প্রার্থনারত শান্তির পাখিরা
লাশ হয়ে পড়ে আছে মসজিদের আঙিনায়
পৃথিবী তাকিয়ে দেখো,
মিডিয়া চোখ খুলে দেখো
মানবতার ফেরিওয়ালারা দেখো
দেখো দেখো.......
মুসলমানের জীবন কত তুচ্ছ দেখো
ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্টের অস্ত্রের তান্ডব দেখো
উগ্র উস্কানিদাতাদের পৈচাশিক উল্লাশ দেখো
খোদার দরবারে প্রার্থনারত শান্তির পাখিরা
                                   নিথর পড়ে আছে
আহত মানবতা চিৎকার করে কাঁদছে
শেখ সাদী মারজান

রক্তমাখা প্রিয় বসন্ত ।। শেখ সাদী মারজান

গাছের ডালে ফুটন্ত পলাশ শিমুল 
কোকিলের কুহুতানে মুখরিত চারদিক
সকালের সোনা রোদ ছড়িয়ে পড়েছে উঠোনে

মায়ের পাগল ছেলেটি চললো মিছিলে
বাংলা ভাষার মিছিলে
মায়ের ভাষার মিছিলে
"রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"
হায়েনার বুলেট বিঁধলো ছেলেটির বুকে
পিচঢালা রাস্তায় পড়েছিল নিথর দেহ
মা খুঁজছে তার পাগল ছেলেকে
ছেলেটি মিছিলে গিয়েছিল
মায়ের ভাষার মিছিলে
বাংলা ভাষার মিছিলে
মা খুঁজছে তার পাগল ছেলেকে
রক্তমাখা পিচঢালা পথ
রক্তমাখা পলাশ শিমুলের বুক
রক্তমাখা প্রিয় বসন্ত
কোকিলের কণ্ঠে বেদনার সুর
প্রচ্ছদ- রক্তমাখা প্রিয় বসন্ত

আমার মতো করে ।। শেখ সাদী মারজান

আমি ভাবতে চাই
আমি হাসতে চাই
আমি কাঁদতে চাই
আমার মতো করে

আমি দেখতে চাই
আমি শুনতে চাই
আমি মানতে চাই
আমার মতো করে

আমি পড়তে চাই
আমি জানতে চাই
আমি লিখতে চাই
আমার মতো করে

শেখ সাদী মারজান

পশ্চিমবঙ্গের অন্ধ হুমায়ূন ভক্ত আবু রাইহান ।। শেখ সাদী মারজান

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অজস্র পাঠক ভক্তের কথা প্রায় আমাদের সকলের জানা আছে। কিন্তু ওপার বাংলায় একজন অন্ধ হুমায়ূন ভক্ত রয়েছে, তিনি আবু রাইহান। পেশায় সাংবাদিক, নেশায় কবি। কবি-বহুমাত্রিক লেখক সাযযাদ কাদির প্রবর্তিত বাংলা কবিতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন আবু রাইহান। হুমায়ূন আহমেদের লেখা সবগুলো বই তিনি পড়েছেন। দেখেছেন তাঁর সবগুলো সিনেমা। বাংলাদেশে আসার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল প্রিয় কবি আল মাহমুদের সাথে দেখা করা এবং প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের নুহাশ পল্লী দেখা।


নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন ভক্ত আবু রাইহান

প্রথমে দেখা করেন আল মাহমুদের সাথে, এরপর যান নুহাশ পল্লীতে। তাঁর সাথে ছিলেন ওপার বাংলার কবি-কথাসাহিত্যিক আবদুস শুকুর খান, কবি তাজিমুর রহমান, বাংলাদেশের কবি আনিসুর রহমান খান, পুলিশ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন, নাট্যজন আলী হাসান। নুহাশ পল্লীতে আবু রাইহানের দেখা হয় হুমায়ুন আহমেদের আরেক পাগল ভক্ত মোশাররফ এর সাথে, যিনি নুহাশ পল্লীর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্তে নিয়োজিত আছেন। মোশাররফ হুমায়ুন আহমেদের সব কয়টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তিনি একজন লোকসঙ্গীত শিল্পীও। মোশাররফ শোনান নুহাশ পল্লীর অনেক গল্প-কাহিনী, ঘুরে ঘুরে দেখান কোন জায়গায় হুমায়ুন আহমেদ বসতেন, কোন ঘরে থাকতেন ইত্যাদি। আবু রাইহান মুগ্ধচিত্তে শোনেন মোশাররফের কথাগুলো। নুহাশ পল্লী দেখেন আর মুগ্ধ হতে থাকেন। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে নিজের লেখা গানটি মোশাররফ শোনান আবু রাইহানকে। সবশেষে হুমায়ূন আহমেদের কবরের সামনে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে যান আবু রাইহান। কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকার পর কবর জিয়ারত করেন।
হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করছেন আবু রাইহান ও কবি-কথাসাহিত্যিক আবদুস শুকুর খান
ঢাকায় ফেরার পথে, গাড়ীতে বসে জীবিত হুমায়ূন আহমেদকে না দেখতে পারার আফসোস ব্যক্ত করেন হুমায়ূন ভক্ত আবু রাইহান।

স্মৃ‌তির আয়নায়

স্মৃ‌তির আয়নায় ভে‌সে উঠে
সদা হাস্যজ্জল এক‌টি মুখ
আ‌মি তা‌কি‌য়ে থা‌কি একম‌নে
তারপর যন্ত্রণারা বিধতে থা‌কে
অর্জু‌নের বা‌ণের ম‌তো
নিকোটিন পুড়ে, হৃদয় পুড়ে
ধোঁয়া বের হয়, ঠোঁট কালো হয়
দিন কেটে যায়, রাত কেটে যায়
সেই মুখটি, আহা! সেই মুখটি
স্মৃ‌তির আয়নায় ভে‌সে উ‌ঠে
শেখ সাদী মারজান

টুকরো ভাবনা ০১

লোডশেডিং । ঘুম আসছেনা কিছুতেই , ব্যালকনিতে বসে আকাশের চাঁদ আর মেঘের লুকোচুরি দেখছি ।

ব্যালকনিতে নির্ঘুম রাত আগেও কেটেছে অনেকবার । কখনো কারো সাথে দূরালাপনে, কখনো আনমনে , কখনো স্মৃতি রোমন্থনে ।

আজ ডুবেছি বিমূর্ত ভাবনায় . . .


প্রিয় বন্ধু ।। শেখ সাদী মারজান

অনেকদিন পর 
তাঁর সাথে দেখা হলো
সে আমার প্রিয় বন্ধু
সে অনেক সুন্দর

সে দেখতে যেমন সুন্দর
তেমন সুন্দর হৃদয়টাও 

তাঁর মুখের পানে তাকালে
খুঁজে পাই শান্তি ও স্থিরতা 

তবুও ভালো আছি ।। শেখ সাদী মারজান

শেখ সাদী মারজান



মধ্যমায় বাস করে উজ্জ্বল চুনি
ওর রঙ আজ বিবর্ণ
যন্ত্রণায় এপাশ-ওপাশ করে কেটেছে সারা রাত
অস্থিরতা বাসা বেঁধেছে মাথায়
কোন ক্রমেই নামতে চাইছেনা যেন
সুস্থির আর সুসময় এখন আমাবশ্যার চাঁদ
তবুও আমি ভালো আছি
ভালো থাকার চেষ্টা করছি।

স্বাধীন জাতির স্বাধীন‌ পিতা একটি সফল প্রযোজনা ।। শেখ সাদী মারজান

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলো জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হ...